নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সার্বজনীন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে নতুন নির্বাচন কমিশন। সেজন্য বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই সাবেক জেষ্ঠ সচিব।
নতুন সিইসি হিসাবে নিয়োগ পাবার পর শনিবার সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, সবার কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়াই তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে, শনিবার রাষ্ট্রপতি পাঁচ জনকে নিয়োগ দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। দেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া হাবিবুল আউয়াল নেতৃতত্বাধীন এই কমিশনের পরিচালনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনের পরপরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রোববার প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ গ্রহনের মাধ্যমে দায়িত্ব নেবে নতুন নির্বাচন কমিশন।
সরকারি প্রজ্ঞাপনের পর নতুন সিইসির প্রতিক্রিয়া নিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে ছুটে যান গণমাধ্যমের কর্মীরা। এ সময় তিনি জানান, এখন আনুষ্ঠানিকভাবে খবর পাননি তিনি।
নতুন সিইসি বলেন, কমিশনের নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শেষ করার পর, তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেই আগামী পথচলার কৌশল ঠিক করবেন।
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সম্পর্কে সংবিধানে যা যা বলা হয়েছে সেটি মেনে চলার পাশাপাশি শপথের প্রতি আনুগত্য থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান তিনি।
কাজী হাবিব বলেন, আমার একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব হবে না। সব সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেই সব সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের স্পিরিট হবে কর্পোরেট।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জানিয়েছে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না। আমাদের চেষ্টা থাকবে বিএনপির মতো একটি বড় দলকেও নির্বাচনে নিয়ে আসা। নির্বাচনকে যদি অর্থবহ করতে হয়, গ্রহনযোগ্য করতে হয়, সার্বজনীন করতে হয়, তাহলে সবার অংশগ্রহন থাকতে হবে। তবে সব দল যে আসবে তেমন নয়, তবে বড় দলগুলোর আসা দরকার। সবাইকে আস্থায় নেয়ার চেষ্টা থাকবে নতুন কমিশনের।
একটি সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনের একা কাজ নয় উল্লেখ করে নতুন সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষে সম্মিলিত ও এক হয়ে কাজ না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় না।
সবাই মিলে চেষ্টা করলে এবং সবার সহযোগিতা পেলে নতুন কমিশন একটি সুন্দর এবং সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে বলেও মনে করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।