নিজের দেওয়া তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বেছে নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার একটা ভালো কাজ করলো। সব বিরোধীদলকে বলবো সিইসিকে মেনে নিতে। নতুন সিইসি খারাপ করবেন না। বলেও মন্তব্য করেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশনা গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারির পর গণমাধ্যমকে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম আমি প্রস্তাব করেছিলাম। তিনি একজন সৎ লোক। প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল যুগান্তকারী কাজ করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, তিনি সচিব হওয়ার পর দেখলেন, অন্যান্য বাহিনী, সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিল দেয় বর্তমান মূল্যে আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্যুৎ বিল দেয় ১৯৭২ সালের রেটে। তখন তিনি বললেন, এটা হবে না। সেনাবাহিনীকেও অন্যদের মতো মূল্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। তখন অনেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তার অবস্থান থেকে সরেননি।
ড. জাফরুল্লাহ গণমাধ্যমকে আরও বলেন, সরকার নতুন সিইসির ওপর খুব বেশি প্রভাব খাটাতে পারবে না। কারণ, তার মধ্যে সততা আছে। আমি সব বিরোধীদলকে বলবো, উনাকে মেনে নিন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। নতুন এই কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনের জন্য চূড়ান্ত দশজনের নাম জমা দিয়েছে। নামপ্রস্তাব পেয়ে রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তাদের প্রশংসা করেছেন। ওই দিন বঙ্গভবনের প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন কমিশন আগামীতে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসমূহ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সক্ষম হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।