সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় আকারের পাশাপাশি মাঝারি ও ছোট ইলিশ। ভালো দাম পেয়ে দারুণ খুশি জেলেরা। তবে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চড়া দামে কিনে বিক্রির কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তারা। এদিকে সাগরে ট্রলিংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার দাবি ট্রলার মালিকদের।
একের পর এক মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে ফিরছে উপকূলে। নোঙর করছে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে। এরপর বড় ট্রলার থেকে মাছ নামিয়ে ছোট ট্রলারে করে আনা হচ্ছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে।
ঘাটে ট্রলার ভিড়তেই ঝুড়ি নিয়ে হাজির মৎস্য শ্রমিকরা। জেলেরা ঝুড়িতে ভরছেন ইলিশ। তবে আকারভেদে ভরা হচ্ছে একেকটি ঝুড়িতে। তারপরই ঝুড়ি ভর্তি ইলিশ বিক্রির জন্য শ্রমিকরা নিয়ে যাচ্ছেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে।
মাছের দাম নিয়ে জেলেরা জানান, মাছের সরবরাহ ভালো। দামও ভালো পাচ্ছি। প্রতি হাজারে এক থেকে দেড় লাখ।
আকারভেদে ইলিশ বিক্রির পর তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে বরফ দিয়ে। তবে জেলেদের কাছ থেকে চড়া দামে ইলিশ নিয়ে সারাদেশে সরবরাহ করে দাম পাচ্ছেন না বলে জানালেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ছোট মাছের দাম অনেক উঠা নামা করে। এখানে মাছ যে দাম দিয়ে কিনছি, বাজারে তো তেমন দামে বিক্রি করতে পারছি না।
এদিকে ট্রলার মালিকরা বলছেন, সাগরে জলদস্যুতা কমলেও ট্রলিংয়ের কারণে নষ্ট হচ্ছে জেলেদের মূল্যবান জাল। তাই ট্রলিংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেলায় ৬ হাজারের বেশি নৌযানে সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন নিবন্ধিত ৬৩ হাজার জেলে।