ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কিয়েভের কাছাকাছি রাশিয়ার সেনা বহনকারী একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বহুসংখ্যক রুশ ছত্রীসেনা নিহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, তারা এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এক ফেসবুক পোস্টে কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সেনা বহনকারী আইএল-৭৬ এমডি বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনের সু-২৭ যুদ্ধবিমান। বিমান থেকে কিয়েভ অঞ্চলে ছত্রীসেনারা নামার চেষ্টা করেছিল।
তবে বিমানটিতে সর্বোচ্চ ১৬৭ সেনা বহন করার সক্ষমতা রয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভ্যালারি জালুজনি বলেন, এটি ২০১৪ সালের লুহানস্কের প্রতিশোধ। আট বছর আগে ইউক্রেনের একটি বিমান ভূপাতিত করা হলে তার ৯ ক্রু ও ৪০ ছত্রীসেনা নিহত হয়েছিলেন।
তবে ইউক্রেনের অভিযানে রাশিয়ার কোনো হতাহতের মুখোমুখি হতে হয়নি বলে দাবি করেন দেশটির সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আইগর কোনশেনেকভ।
এদিকে রাজধানী কিয়েভের ১৮ দশমিক ছয় মাইল দূরে রাশিয়ার একদল সেনা পৌঁছে গেছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন খবর দিয়েছে।
রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যুক্তরাজ্য বলছে, এই হামলায় ধারণার চেয়েও বেশি লোক হতাহত হবেন। ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যাটা ক্রেমলিন যা স্বীকার করবে, তার চেয়েও অভাবনীয় হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। এতে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে তারা কমিয়ে দিতে পেরেছে।
দেশজুড়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। রাজধানীর নাগরিকদের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভ এখনো আমাদের নিয়ন্ত্রণে। লড়াই চলছে।