ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাতেই আটক করার পরিকল্পনা করেছিল রাশিয়া। কিন্তু তার বাহিনী তা প্রতিহত করে দিয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এমন দাবি করেছেন। বলেছেন, আমাকে আটক করে সেই জায়গায় নিজেদের মতো একজন নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করতে চেয়েছিল রাশিয়া।
কিয়েভে হামলা বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর চাপপ্রয়োগে রুশ নাগরিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, আমাকে আটক করার রুশ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের বাহিনীর হাতেই রয়েছে। এছাড়া বড় বড় শহরগুলোও তাদের নিয়ন্ত্রণে।
তিনি বলেন, তার দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার অধিকার রাখে।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ হলেও ইউক্রেন ইইউ’র সদস্য হতে পারেনি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হতে তাদের সংবিধানে সংশোধন করা হয়েছিল।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কিয়েভের কাছাকাছি রাশিয়ার সেনা বহনকারী একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বহুসংখ্যক রুশ ছত্রীসেনা নিহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, তারা এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এক ফেসবুক পোস্টে কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সেনা বহনকারী আইএল-৭৬ এমডি বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনের সু-২৭ যুদ্ধবিমান। বিমান থেকে কিয়েভ অঞ্চলে ছত্রীসেনারা নামার চেষ্টা করেছিল।
তবে বিমানটিতে সর্বোচ্চ ১৬৭ সেনা বহন করার সক্ষমতা রয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভ্যালারি জালুজনি বলেন, এটি ২০১৪ সালের লুহানস্কের প্রতিশোধ। আট বছর আগে ইউক্রেনের একটি বিমান ভূপাতিত করা হলে তার ৯ ক্রু ও ৪০ ছত্রীসেনা নিহত হয়েছিলেন।
তবে ইউক্রেনের অভিযানে রাশিয়ার কোনো হতাহতের মুখোমুখি হতে হয়নি বলে দাবি করেন দেশটির সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল আইগর কোনশেনেকভ।