বেলারুশের গোমেলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের বৈঠক থেকে কী ফল আসে, সেদিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, আমরা সবসময়ই কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলে আসছি। কিন্তু রাশিয়া সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে কূটনৈতিকভাবে জোরালো চেষ্টা চালানো হয়েছে।
তবে রাশিয়া আস্থার সঙ্গে চেষ্টা করছে কি না, জিজ্ঞাসা করা হলে গ্রিনফিল্ড সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তিনি বলেন, রাশিয়ানরা কী ভাবছেন, তা আমি বলতে পারবো না। তাদের নেতাদের চিন্তাভাবনা নিয়ে আমাদের ধারণা নেই। বরং বৈঠক থেকে কী ফল আসছে, আমাদের সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বেলারুশের গোমেল শহরে পথে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ও প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি এমন দাবি করেছেন।
ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে আলোচনা হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত। গোমেলে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের আগমনের অপেক্ষায় আছি আমরা।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। এরপর রুশ পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন লুকাশেঙ্কো। গোমেল থেকে রুশ প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে না নিতে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে অনুরোধ করেন। গোমেল অঞ্চলেই বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য লিওনিড স্লুটস্কি বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আসন্ন আলোচনায় রাশিয়া কঠোর অবস্থান নেবে। রাশিয়ার প্রধান মিত্রদের একটি বেলারুশ ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির সীমান্ত দিয়েই প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।