ইউক্রেনে রুশ হামলার পঞ্চমদিন চলছে আজ। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভসহ বেশ কয়েকটি শহরে দুই পক্ষের মধ্য তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় শহর বারদিয়ানস্ক এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
রুশ হামলায় এ পর্যন্ত ১৪ শিশুসহ ৩৫২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ১১৬ শিশুসহ আহত হয়েছে এক হাজার ছয়শ’ ৮৪ জন।
এরমধ্যেই, সাবেক রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ফেডোরভ বলেন, দোসরা মার্চের মধ্যে ইউক্রেন জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, খেরসনসহ বেশ কয়েকটি শহর এবং আশপাশ থেকে পঞ্চম দিনের মতো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, দুই শহরে ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি দেশটির সরকার।
কিয়েভের মেয়র জানান, রাজধানীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইউক্রেনকে রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
কিয়েভ আরও জানিয়েছে, বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। রুশ বাহিনীকে সহায়তায় ইউক্রেনে ঢুকছে মিনস্কের বাহিনী।
আর বারদিয়ানস্ক শহরের মেয়র আলেকজান্ডার সভিডলো এক ফেসবুক ভিডিওতে বলেন, রুশ সেনারা স্থানীয় সময় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে চারটার দিকে শহরে প্রবেশ করে। এরপর রাশিয়ানরা তাদের জানিয়েছে যে শহরের সব প্রশাসনিক ভবন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
এ অবস্থায়, প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে। এ সংখ্যা ৭০ লাখ হতে পারে বলে আশঙ্কা ইউরোপীয় কমিশনের।
এদিকে, প্রথমবার যুদ্ধরত রুশ সেনা সদস্যরা হতাহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে মস্কো। তবে তারা সংখ্যা জানায়নি। বলা হয়, অভিযানে সাহসিকতা, বীরত্বের সঙ্গে লড়ছে রুশ বাহিনী।
সাবেক রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ফেডোরভ জানান, দোসরা মার্চের মধ্যে ইউক্রেনে জয়ের লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের।
আগামী দুই দিনেই সব কিছু নির্ধারিত হয়েছে যাবে বলে জানান তিনি। রুশ জ্বালানির উপর নির্ভরশীল ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে পরমাণু অস্ত্র সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখার জন্য রুশ সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমাদের ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে দূরের রাখার জন্যই এ হুঁশিয়ারি। দায়িত্বহীন আচরণ আখ্যা দিয়েছে পুতিনের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো।
এরমধ্যেই মস্কোর উপর আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান।
ইউক্রেনে প্রাণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন।ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন তাদেরই অংশ। কিয়েভকে জোটে চান তারা।