ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুকে শিশুশ্রম থেকে প্রত্যাহারে ৬ মাসের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ৪ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিশুরা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে উপবৃত্তি পাবে।
উপবৃত্তির এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে প্রদানের জন্য বিকাশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে প্রত্যাহার করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে শুধু এই এক লাখ শিশুকে প্রত্যাহারই নয় এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সকল প্রকার শিশুশ্রম থেকে শিশুদের প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখানে সরকার শতভাগ সফল। আজকের চুক্তিও এই সফলতার অংশ। ডিজিটাল বাংলাদেশে সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১২টি বিভাগীয় শহর এবং ২ টি উপজেলায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিশুরা ঝামেলা ছাড়াই উপবৃত্তির টাকাটা পেয়ে যাবে। প্রকৃত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুরাই যাতে এই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সুবিধাটা পায় সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
শ্রমে নিযুক্তির সর্বনিম্ন বয়স সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আজই মন্ত্রিপরিষদের সভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সকলকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচের কোনো শিশুকে শ্রমে নিযুক্ত করা যাবে না।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১০ মাসের উপানাষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী নিজ নিজ কাজে দক্ষ ১০ হাজার শিশুকে সাবলম্বী করতে এককালীন ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দুই বছর মেয়াদী এ চুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল থেকে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.সেলিনা আক্তার, প্রকল্প পরিচালক মো.মনোয়ার হোসেন এবং বিকাশ লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল সাইফুল কাদীর বক্তৃতা করেন।