মোঃমোস্তাফিজুররহমান(মুন্না),পিরোজপুরপতিনিধি:পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. এম, মতিউর রহমানের উপর অতর্কিত হামলা, গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করেছে একদল যুবক। সোমবার রাত আটটার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারী বাসভবন থেকে পিরোজপুর যাওয়ায় পথে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, আমি আমার সরকারী গাড়ী নিয়ে রাত ৮ টার দিকে অসুস্থ ইউএনওর ছেলেকে দেখতে পিরোজপুর হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। এ সময় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সজীব হাওলাদার সহ তিন চারজন আমার গাড়ী থামিয়ে কথা বলছিল। কথার একপর্যায় বাকবিতান্ডায় আমার উপর কিল ঘুষি মেরে হামলা করে। আমাকে জীবন নাশের হুমকী দেয়। হামলায় আমার গাড়ীর বাম গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান রাতে তার সরকারী গাড়ীতে বাসা থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে আসলে স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীবসহ তিন থেকে চারজনে তার গাড়ী থামিয়ে বাকবিতান্ডায় তাকে কিল ঘুষি দেয় ও গাড়ীর উপর হামলা করে। গাড়ীর একটি গ্লাস ভেঙ্গে যায়। পরে চেয়ারম্যান গাড়ী নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সজীব হাওলাদারের সাথে থাকা উত্তম কুমার জানান, আমি সরকারী ঘর পাবার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে কয়েক মাস আগে বিশ হাজার টাকা দেই। ঘর না দেওয়ায় সজীব হাওলাদার কে নিয়ে ঘরের বিষয় জানতে গেলে চেয়ারম্যান খারাপ ব্যবহার করে। তখন চেয়ারম্যানের সাথে সজিব হাওলাদারের হাতাহাতির ঘটন ঘটে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম হাওলাদার জানান, সজিব হাওলাদারের নেতৃত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম,মতিউর রহমানের উপর হামলা করেছে ও তার গাড়ী ভাংচুর করেছে। এর জন্য তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম জানান, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর হামলা ও সরকারী গাড়ী ভাংচুর করা নিন্দনিয় কাজ। থানার ওসি কে এ বিষয় গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নিতে বলছি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, হামলার বিষয়টি শুনেছি কোন লিখিত অভিযোগ পায় নি। তবে হামলাকারী কে বা কারা এ বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।