অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহরে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে বহু এলাকা। বাড়ির ছাদে আটকা পড়েছে অনেকে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্ভোগে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। অন্যদিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ৩ লাখ বাসিন্দাকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। কয়েকদিনের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, ঘরবাড়ি, গাছপালা, রাস্তাঘাট, সেতু সবই ডুবে আছে পানির নিচে। মানুষ, পশু, গাড়ি সবকিছুই যেন থেমে আছে কোনো উপায় না পেয়ে। কয়েক দিনের বন্যায় এটাই এখন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরের চিত্র।
বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ মার্চ) হাজার হাজার বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশটির বিভিন্ন জায়গা থেকে। প্রায় অর্ধলাখ মানুষকে উদ্ধার করার পরও আরও কয়েক লাখ লোককে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধারকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য তাদের সাধুবাদও জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর অসাধারণ সাহসিকতাকে সাধুবাদ জানাই। আমাদের পুলিশ, জরুরি সেবার কর্মকর্তারা সবাই প্রচণ্ড পরিশ্রমী। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এমন অবস্থায় সবাইকে একযোগে দুর্যোগ মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এবারের বন্যা অনেকটাই ২০১১ সালের ব্রিসবেনের বন্যার মতো। যার ভয়াবহতা অনেক বেশি। গত কয়েকদিনের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানান স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।