ইউক্রেনে নিজের সামরিক সক্ষমতা ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করেছে রাশিয়া। সামরিক বিশ্লেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমন খবর দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারাও একই ধরনের দাবি করে আসছেন।
রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের স্থল যুদ্ধাবস্থা ও সামরিক বিজ্ঞানের গবেষক ড. জ্যাক ওয়াটলিং বলেন, বেলারুশের দক্ষিণ থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সেনা অগ্রসর হচ্ছে। তারা কিয়েভের দিকে হামলার পরিস্থিতি তৈরি করছে।
খারকিভের আবাসিক এলাকায় রাশিয়া গ্রাড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করছে। এতে তারা বিভিন্ন এলাকায় রকেট নিক্ষেপ করতে পারছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না করে এলোপাতাড়ি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। এছাড়া গুচ্ছ বোমা নিক্ষেপেরও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে না বলে তা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।
এদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতিসংঘের এক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে জাতিসংঘের সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে নিয়েছে। তাদের পথ ধরে ইউক্রেন যাতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে না-পারে, সেই কারণেই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে রাশিয়াকে।
লাভরভ বলেছেন, ইউরোপের মার্কিন পারমাণবিক বোমা নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। অর্থাৎ এসব বোমা আর ইউরোপে থাকতে পারবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত নিতে হবে। অর্থাৎ এসব বোমা আরও ইউরোপে থাকতে পারবে না, যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত নিতে হবে।
তিনি জানান, ইউক্রেনের কাছে এখনো সোভিয়েত প্রযুক্তি আছে। যার মাধ্যমে এ রকম অস্ত্র উৎপাদন করা যাবে। কাজেই এই মারাত্মক ঝুঁকির বাস্তবোচিত জবাব দিতে আমরা ব্যর্থ হতে পারি না। এছাড়া ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নতুন ন্যায্যতা দেওয়ারও চেষ্টা করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জেনেভায় সম্মেলনে লাভরভ যখন বক্তৃতা দিতে শুরু করেন, তখন ইউক্রেনের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতেরা বের হয়ে যান। লাভরভের বক্তৃতা দেওয়ার সময় তারা হলের বাইরে অবস্থান করেন।