ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বিশাল রুশ সামরিক বহর পৌঁছে গেছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্স২৪ এর সংবাদে বলা হয়, প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুশ সেনা বহর কিয়েভের কাছে এসে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টও এতটুকু তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ৪০ মাইল দীর্ঘ সেনাবহরটি কিয়েভ অভিমুখে যাচ্ছে।
ম্যাক্সার টেকনোলজির দেওয়া স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, বিশাল ওই বহর কিয়েভের দিকে যাচ্ছে।
এর আগের খবরে বলা হয়েছিল, ১৭ মাইল লম্বা ওই সেনাবহর কিয়েভ অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ওই বহর ৪০ মাইল দীর্ঘ হবে।
এর আগে রোববার আরেকটি স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, রুশ সেনাবহরটি রাজধানী কিয়েভ থেকে ৪০ মাইল উত্তর পশ্চিমে অবস্থান করছিল। সে সময় ম্যাক্সার জানায়, সেনাবহরে অস্ত্রসজ্জিত যান, ট্যাংক, গোলাবারুদ ও লজিস্টিক্যাল যান রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।
এদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ান বিমান নিজেদের আকাশপথ নিষিদ্ধ করে। পাল্টা ব্যবস্থা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, কানাডাসহ ৩৬টি দেশের এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে রাশিয়া।
আরও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে পারমাণবিক বোমা সক্রিয় করা হয়েছে। এখন যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিধ্বংসী বোমার ব্যবহার করতে পারবে রুশ সামরিক বাহিনী।
যুদ্ধবিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। দুই দেশকেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হচ্ছে।