কিয়েভের একটি টেলিভিশন টাওয়ার এলাকায় ব্যাপক সামরিক হামলা হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবির বরাতে মঙ্গলবার (১ মার্চ) সিএনএন এমন খবর দিয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কিছু সময়ের জন্য কাজ করবে না। কোনো কোনো চ্যানেলের ব্যাকআপ সম্প্রচার সক্রিয় করা হবে।
এর আগে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবার স্থাপনা ও বিশেষ অভিযান ইউনিটে হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছিল রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘তথ্যযুদ্ধ’ বন্ধে এই হামলা করা হবে। এক বিবৃতিতে মস্কো বলছে, এসব জায়গায় ও তার আশপাশে বসবাস করা লোকজন যাতে নিরাপদ স্থানে চলে যান।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাজধানীর উপকণ্ঠে শত্রুরা অবস্থান করছে। কিয়েভকে রক্ষায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনী ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের ভূখণ্ডের জন্য লড়াই করে আসছেন।
কিয়েভের মেয়র আরও বলেন, শহরের প্রবেশপথগুলোতে দুর্গ ও তল্লাশিচৌকি স্থাপন করা হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজন না-হলে ঘরের বাইরে বের হবেন না। আশ্রয়কেন্দ্রেও চলে যেতে পারেন।
রুশ সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও কামানের চল্লিশ মাইল সামরিক বহর নিয়ে কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থান করছে রুশ বাহিনী। এদিকে কিয়েভের বাসিন্দাদের হুঁশিয়ারি করে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানীর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার বিকালে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবা ও ৭২তম প্রধান সাইঅপস কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
এতে ইউক্রেনের নাগরিকদের এসব জায়গা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তথ্য-হামলা বন্ধেও অভিযান চলছে। যদিও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণাকে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই বলে আখ্যায়িত করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে যোগাযোগকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। এরপর ইউক্রেনের সামরিক রাজনৈতিক নেতাদের আত্মসমর্পণ নিয়ে তারা ব্যাপক ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেবে।