রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিকে বিশেষ সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গ মন্তব্য করেছেন, পুতিনের ওপর ভরসা নাই। তিনি কোনো কাজ করতে পারবেন না বা কোনোদিন করতে পারেন না – এমন ধারণা ভুল। দেখা যাবে তিনি ঠিকই ওই কাজটি করেছেন। এর আগে পুতিন ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে যুক্ত করেছেন। দনবাসে যুদ্ধ শুরু করলেন। পুরোদমে ইউক্রেনে হামলা চালালেন। অনেকে ভেবেছিল, তিনি এসব করবেন না, কিন্তু তিনি তা করেছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, তিনি যে পারমাণবিক বোমার বোতাম ধরে আছেন, তাতে কি চাপ দেবেন?
ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা ও তৎপরতায় ক্ষিপ্ত ও অসন্তোষ পুতিন তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে ‘বিশেষ সতর্কতা’র মধ্যে রেখেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি টেলিভিশনে বিশেষ সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পর সাতদিন না যেতেই ইউক্রেন দখলে মরিয়া হয়েছে রুশ বাহিনী।
তিনি বলেছিলেন, এই অভিযানে কেউ হস্তক্ষেপের চিন্তা করলে তাকে কঠিন পরিণতির মুখে পড়তে হবে। ইতিহাসে সেরকম পরিণতি আগে কেউ দেখেনি। তার শব্দ চয়নে পারমাণবিক বোমার সরাসরি হুমকি স্পষ্ট হয়েছিলেন।
তিনি বরাবরই বলে আসছেন, যদি রাশিয়াই না থাকে, তাহলে এই গ্রহের (পৃথিবী) দরকার কি? – তার এই কথাও বড় হুমকি। মানে তিনি যেকোনো সময় পৃথিবীকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করতে পারেন।
এটা স্পষ্ট যে, পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় কঠিন সংকটে পড়েছে রাশিয়া। জ্বালানি তেল উৎপাদনে বিশ্বের পরাশক্তি রাশিয়া এই সংকটে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে।
মস্কোর প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহায়ার বলেন, পুতিন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারেন। অথবা ব্রিটেন ও ডেনমার্কের মধ্যবর্তী নর্থ সিতে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন। এখন তিনি বোমা বিস্ফোরণের দিকে ঝুঁকে আছেন। তাকে থামাতে তার মিত্রদের এগিয়ে আসতেও দেখা যাচ্ছে না।
পুতিন যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন অর্থাৎ ইউক্রেন দখলে যদি ব্যর্থ হন ও রাশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে পরিণতি নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক হবে। পারমাণবিক অস্ত্র গবেষক পাভেল পডভিগ বলছেন, এই জটিল পরিস্থিতিতে পরমাণু অস্ত্রের সম্পৃক্ততা উদ্বেগজনক। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও একটি হুমকি। পুতিন চান, যুক্তরাষ্ট্র যেন কিছুতেই ইউক্রেন আক্রমণে হস্তক্ষেপ করতে না আসে।
পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার পর এখনও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা পদক্ষেপের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে কিছুতেই যুদ্ধে জড়াবে না। ইউক্রেনে কোনো সেনাও পাঠাবে না।
এর তিনটি কারণ স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা ও রাশিয়া একে অপরের ওপর গুলি শুরু করলে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে। আর রাশিয়া এখন পর্যন্ত আঞ্চলিক সংঘাতে আছে। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো সৈন্য পাঠালে বহুজাতিক সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ইউরোপজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সৈন্য রয়েছে, তারা সেখানে রাশিয়ানদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নয়; বরং ন্যাটোর মিত্রদের রক্ষা ও তাদের স্বার্থে রয়েছে।
তৃতীয়ত, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার সীমান্তে রয়েছে। যদি রাশিয়া এই দেশগুলোর মধ্যে একটিকে হুমকি দেয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বাকি ৩০ সদস্যের ন্যাটো জোট ঝাঁপিয়ে পড়বে।
কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর পাশাপাশি পুতিনের অন্তত কয়েক হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র ইউরোপ-আমেরিকার জন্য কোনো সুখবর নয়।
পুতিনের অগ্রসর তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, তার কথা মতো সংঘাত চলবে বা সংঘাতের অবসান ঘটবে। তার কথাই বাস্তবে রূপ নেবে। তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন কি না তার আগের সব লক্ষণে এটুকু স্পষ্ট যে, তিনি সেটি করতে পারেন। কেবল ভয় দেখাচ্ছেন, কাজে করে দেখাবেন না- এমন ভাবনায় পড়ে থাকলে ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বকে চরম মূল্য দিতে হবে।
পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার পর এখনও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা পদক্ষেপের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে কিছুতেই যুদ্ধে জড়াবে না। ইউক্রেনে কোনো সেনাও পাঠাবে না।
এর তিনটি কারণ স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা ও রাশিয়া একে অপরের ওপর গুলি শুরু করলে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে। আর রাশিয়া এখন পর্যন্ত আঞ্চলিক সংঘাতে আছে। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো সৈন্য পাঠালে বহুজাতিক সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ইউরোপজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সৈন্য রয়েছে, তারা সেখানে রাশিয়ানদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নয়; বরং ন্যাটোর মিত্রদের রক্ষা ও তাদের স্বার্থে রয়েছে।
তৃতীয়ত, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার সীমান্তে রয়েছে। যদি রাশিয়া এই দেশগুলোর মধ্যে একটিকে হুমকি দেয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বাকি ৩০ সদস্যের ন্যাটো জোট ঝাঁপিয়ে পড়বে।
কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর পাশাপাশি পুতিনের অন্তত কয়েক হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র ইউরোপ-আমেরিকার জন্য কোনো সুখবর নয়।
পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার পর এখনও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা পদক্ষেপের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে কিছুতেই যুদ্ধে জড়াবে না। ইউক্রেনে কোনো সেনাও পাঠাবে না।
এর তিনটি কারণ স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা ও রাশিয়া একে অপরের ওপর গুলি শুরু করলে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে। আর রাশিয়া এখন পর্যন্ত আঞ্চলিক সংঘাতে আছে। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো সৈন্য পাঠালে বহুজাতিক সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ইউরোপজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সৈন্য রয়েছে, তারা সেখানে রাশিয়ানদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নয়; বরং ন্যাটোর মিত্রদের রক্ষা ও তাদের স্বার্থে রয়েছে।
তৃতীয়ত, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যদেশ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার সীমান্তে রয়েছে। যদি রাশিয়া এই দেশগুলোর মধ্যে একটিকে হুমকি দেয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বাকি ৩০ সদস্যের ন্যাটো জোট ঝাঁপিয়ে পড়বে।
কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর পাশাপাশি পুতিনের অন্তত কয়েক হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র ইউরোপ-আমেরিকার জন্য কোনো সুখবর নয়।
পুতিনের অগ্রসর তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, তার কথা মতো সংঘাত চলবে বা সংঘাতের অবসান ঘটবে। তার কথাই বাস্তবে রূপ নেবে। তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন কি না তার আগের সব লক্ষণে এটুকু স্পষ্ট যে, তিনি সেটি করতে পারেন। কেবল ভয় দেখাচ্ছেন, কাজে করে দেখাবেন না- এমন ভাবনায় পড়ে থাকলে ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বকে চরম মূল্য দিতে হবে।