আজ থেকে শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান। চলবে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত। এসময়ে ইলিশের ছয়টি অভয়ারণ্যে কোনো ধরনের মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। বিনিময়ে তাদের দেওয়া হবে সরকারি সহায়তা। ভোর থেকেই অভিযান শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশ। কয়েকজন জেলেকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
মার্চ-এপ্রিল মাসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। উৎপাদন বাড়াতে মঙ্গলবার (১ মার্চ) মধ্যরাত থেকে অভয়ারণ্যগুলোয় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
ভোর থেকে বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ। এসময় ভোলার মেঘনা নদী থেকে আটক করা হয়েছে ১৫ জেলেকে। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১৫ কেজি ইলিশ।
মৎস্য বিভাগ জানায়, এরইমধ্যে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গণসংযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা পটুয়াখালীর মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা, সচেতনতা সভার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট অভিযান নিয়মিত চলবে।
সকালে বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা বের করে জেলা জাটকা সংরক্ষণ টাস্কফোর্স কমিটি। নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদের সরকারি সহায়তা প্রদানের বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ৪০ কেজি করে চাল জেলেদের কাছে আমরা পৌঁছে দেব। এছাড়া জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
আগের যে কোনো সময়ে চেয়ে এ বছর আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চাঁদপুরের নৌ পুলিশে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, অন্যান্য বছর যেভাবে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম পালিত হয়েছে, এবার তার চেয়ে কঠোরভাবে পালিত হবে।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, নিষেধাজ্ঞাকালে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিপণন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।