রাশিয়ার নাগরিকরা ১০ হাজার ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে দেশত্যাগ করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন এক ডিক্রি জারি করেছেন।
বুধবার (২ মার্চ) থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হবে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় রুবলের দাম কমে যাওয়ার পর এ ঘোষণা এল।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সব ধরনের রাশিয়ান ফ্লাইট (বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত) বাতিল করার খবর নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকেও আরও বিচ্ছিন্ন ও অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলবে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া এরইমধ্যে রুবল ও পুঁজিবাজের যথাক্রমে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে।
এ সময় বাইডেন তার নাগরিকদের ইউক্রেনীয়দের দৃঢ়তা থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় দেশ এবং কানাডা দ্বারা আরোপিত অনুরূপ ব্যবস্থা থেকে এ পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়েছে।
বাইডেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে আরও বিচ্ছিন্ন করবে এবং এর অর্থনীতিতে আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
বাইডেন বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ট্যাংক নিয়ে কিয়েভকে ঘিরে ফেলতে পারেন, কিন্তু তিনি কখনই ইউক্রেনের জনগণের হৃদয় ও আত্মা অর্জন করতে পারবেন না।
এর আগে ইউরোপীয় দেশগুলো ও কানাডা রাশিয়ান বিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।
ইতোমধ্যে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইইউসহ ৩৬ দেশের ওপর নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।
প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল। কিন্তু বরাবরই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।
পরে যুদ্ধবিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। তাই দুই দেশকেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হচ্ছে।