লিগ কাপের দুর্দান্ত ফাইনাল জয়ের পর লিভারপুলের পুরো মনোযোগ এখন এফএ কাপ ঘিরে। যেখানে পঞ্চম রাউন্ডে তারা অ্যানফিল্ডে আতিথ্য দেবে নরউইচ সিটিকে। শিরোপা জিতে ছন্দে আছে অল রেডরা। তার ওপর নরউইচের বিপক্ষে পরিসংখ্যান বেশ আত্মবিশ্বাসই যোগাবে ইয়্যুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের। তবে কোচের চিন্তার মূল কারণ প্রতিপক্ষ নয়। ম্যাচের আগে মূল বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি।
ক্লপ বলেন, ‘দেখুন আপনারা জানেন, আমাদের সূচি কতটা ব্যস্তময়। প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও আমাদের অন্য ম্যাচগুলো খেলতে হচ্ছে। আমরা টানা ম্যাচ খেলার মধ্যে আছি। আর সামনেও খেলতে হবে। তাই আমার চিন্তা শুরু ম্যাচে জয় পাওয়া নিয়ে নয়, ছেলেরা পুরোপুরি ফিট থেকে খেলতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই আমি ভাবছি।’
লিভারপুলে আছে থিয়াগো আলকান্তারা ও রবার্তো ফিরমিনোর ইনজুরি। ফলে সেরা একাদশে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে ওরিগি, এলিয়ট, মিলনার ও সিমিকাসদের।
এফএ কাপের আরেক ম্যাচে, চেলসি আতিথ্য নেবে লুটন টাউনের। অখ্যাত ক্লাবটির বিপক্ষে পরিসংখ্যানে খুব বেশি এগিয়ে নেই ব্লুরা। আগের ৭ দেখায় ৪ ম্যাচ জিতেছে তারা, হেরেছে দুইটিতে। আর ড্র হয়েছে একটি। লিগ কাপের ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হারা চেলসি ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া এফএ কাপে। কিন্তু অল রেডদের মত তাদের ডেরাতেও প্রধান বাধা টানা ম্যাচ খেলার ধকল। তারপরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা কোচ থমাস টুখেলের।
টুখেল বলেন, ‘আমার দলের ছেলেরা শারীরিকভাবে ফিট নয়। একের পর এক ম্যাচ খেলতে গেলে, যথেষ্ট বিশ্রাম না পেলে আপনি চাইলেই সেরা ফলাফলটা পাবেন না। আমার দলেরও একই অবস্থা। তাদেরও বিশ্রাম দরকার। কিন্তু সেটার সুযোগ কই? তারপরও আশা থাকবে ভালো কিছুই হবে।’
ইনজুরির কারণে অধিনায়ক কেসারকে দেখা যাবেনা এ ম্যাচে। কোভাচিচ, চিলওয়েলরাও এই তালিকায়। ফলে মালাং সার, টিমো ওয়েরনার ও রোমেলু লুকাকুদের দেখা যেতে পারে সেরা একাদশে।