রুশ হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ।
তবে মাতৃভূমিকে রক্ষায় অনেকে হাতে তুলে নিচ্ছেন অস্ত্র। যোগ দিচ্ছেন যুদ্ধে। বেসামরিক লোকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এছাড়া, রুশ সেনাদের প্রতিহত করতে পেট্রোল বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা।
রাশিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনড় ইউক্রেন সরকার। নিজেদের শেষটুকু দিয়ে লড়াই করছেন সাধারণ মানুষও। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন তারা।
প্রতিদিনই যুদ্ধকালীন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন দেশটির নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। লড়াইয়ের কৌশল জানতে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
এক চিকিৎসক বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমি ঘরে বসে থাকতে পারি না। যারা যুদ্ধে আহত হচ্ছেন তাদের চিকিৎসায় আমি কাজ করতে চাই। তাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এসেছি।
আরেকজন বলেন, আমাদের যেভাবেই হোক প্রস্তুতি নিতে হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সঙ্গে আছেন। সেনা সদস্যদের বলতে চাই আপনারা একা নন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর; সবাই এ যুদ্ধে অংশ নিতে পারবে। আমরা কাউকে বাদ দিতে চাই না। যারা এই যুদ্ধে অংশ নিতে চান তাদেরই নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর লোকবল বাড়াতে সারাদেশে এই প্রক্রিয়া চলছে।
শুধু সেনাবাহিনীতে অংশ নয়; রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে চলছে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ। অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও পেট্রোল সংগ্রহ করে তৈরি করছেন হাত বোমা।