না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। এই তো দিন দুয়েক আগের কথা, ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তিনি। সেই বাসনা আর পূরণ হলো না ওয়ার্নের। থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে শুক্রবার (৪ মার্চ) মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের ক্রান্তিকাল চলছে, সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে এই কথা কিছুটা হলেও প্রযোজ্য হয়। যার প্রভাবে বরখাস্ত হয়েছেন কোচ ক্রিস সিলভারউড। ভারপ্রাপ্ত কোচ দিয়ে এখন কাজ চালাচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। পদ খালি থাকায় জো রুটদের কোচ হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ওয়ার্ন।
স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে ওয়ার্ন বলেছিলেন, ‘আমি এই কাজ করতে চাই। ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি মনে করি, কোচ হিসেবে ভালো করব। একটা দলে অনেক কাজ করতে হয়। ইংল্যান্ড দলে অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় এবং অনেক গভীরতা রয়েছে। আপনাকে কিছু মৌলিক বিষয় পরিষ্কার করতে হবে। আপনি নো বল করতে পারবেন না বা খুব বেশি ক্যাচ ড্রপ করতে পারবেন না। এ ছাড়া কিছু খেলোয়াড়ও ভালো পারফর্ম করতে পারছেন না।’
ওয়ার্ন কোচ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার পর অনেকে বলেছিলেন ইংল্যান্ড দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারবেন তিনি? আগের কোচ সিলভারউডের সাফল্য পেরুতে পারবেন তো? সেই সম্ভাবনা এখন আর নেই।
৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সারথিদের মধ্যে হয়তো প্রথম কাতারেই থাকবেন তিনি। ২০০৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন তিনি। ক্রিকেটীয় জীবনে একাধিক রেকর্ডের অধিকারী ওয়ার্ন। টেস্টে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের নজির গড়েছেন (৯৬)। সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যেও তিনি সবার শীর্ষে। ক্যারিয়ার জুড়ে জাতীয় দলের হয়ে ৪ হাজার ১৭২ রান করেছেন তিনি। টেস্টেও সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ওয়ার্নের নাম সবার শীর্ষে। অভিজাত ক্রিকেটে তিনি করেছেন ৩ হাজার ১৫৪ রান।
১৯৯২ সালে টেস্টে অভিষেক হয় ওয়ার্নের। ১৪৫ টেস্টে তিনি নিয়েছেন ৭০৮ উইকেট, যা অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে প্রথম তিনি জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ১৯৯৩ সালে। জাতীয় দলের হয়ে ওয়ার্ন সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন ২০০৭ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ১৯৪ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ২৯৩ উইকেট।