পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার (৫ মার্চ) রাশিয়ার জাতীয় এয়ারলাইনস এয়ারোফ্লটের এয়ারহোস্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনে উড়াল-নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণার অর্থ হচ্ছে, সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, যা বিশ্বের জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে রুশভাষীদের রক্ষায় এই বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাশিয়ায় কোনো সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা নেই জানান পুতিন।
তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ কেবল বহিরাগত আগ্রাসনের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়। সামরিক তৎপরতার এলাকা নির্ধারণে এ আইন ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু আমাদের তেমন কোনো পরিস্থিতি নেই। আমাদের তেমন কিছু হবে না বলেই আশা করছি।
পুতিন সামরিক আইন জারি করতে পারেন বলে গুজব শোনা যাচ্ছিল। এ ধরনের আইন জারি হলে তাতে সরকারি কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ সামরিক বাহিনীর হাতে চলে যায়। এছাড়া সব ধরনের বেসামরিক আইনও স্থগিত করে দেওয়া হয়।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো দেশ উড়াল-নিষিদ্ধ অঞ্চল জারি করলে তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
সামরিক দিক থেকে কোনো অঞ্চলকে উড়াল-নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে, সেখানে হামলা প্রতিরোধ কিংবা নজরদারি এড়াতে সব ধরনের বিমানের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। কাজেই কোনো বিমান ঢুকতে চেষ্টা করলে সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনস্কি বলেন, কোনো ধরনের উড়াল-নিষিদ্ধ অঞ্চল না করার অর্থ হচ্ছে ন্যাটোর দুর্বলতা ও অনৈক্য। তবে এতে আরও অনেক দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে ন্যাটো।