২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল আইডি কার্ড ও সনদ দেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আর দ্রুতই প্রত্যক্ষ ভোটে হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের এক মিলনমেলায় এমন আশ্বাস দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। এতে সাড়ে তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর এই প্রথম মানিকগঞ্জে ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মিলনমেলার আয়োজন করলো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে অংশ নেন, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার সাড়ে তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সাত সদস্য।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। এরপর নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া করা হয়।
মিলন মেলায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিলনমেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আমেল বলেন, আমি আমি নাতিদের নিয়ে মিলনমেলায় এসেছি। ভালো লাগছে মুক্তিযুদ্ধাদের এ রকম সম্মান দেয়ার জন্য। আমাদের সম্মাননা দিলে আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে মুক্তিযুদ্ধাদের সম্পর্কে।
মিলনমেলায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনিবলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর করতে দেশী-বিদেশী চক্র সক্রিয়। এজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাওয়ার কারণে একটি মহল ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলুন্ঠিত করতে বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা চায়নি বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হোক।
মন্ত্রী জানান, সারাদেশে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই আদলে করা হবে। যেন একশ বছর পরেও মানুষ তাদের কবর চিনতে