ড্যান্ডি নেশার ছোবলে রাজধানীর পথশিশুরা। এ মাদক বিক্রিতে বিধিনিষেধ না থাকায় খুব সহজে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। মাদকের টাকা জোগাড় করতে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
ঢাকার ৮৫ শতাংশ পথশিশু মাদকাসক্ত বলে জানায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। যদিও এ বিষয়ে মাথাব্যথা নেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। নিরুপায় পুলিশও।
ময়লা প্যান্ট, উসকো খুসকো চুল, চোখে ঘুমঘুম ভাব রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্কে ঘুরছে এসব পথ শিশু। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- সে ড্যান্ডি নামক মাদকের নেশায় আসক্ত। তার মত হাজারো শিশুর দেখা মেলে শহরে অলিগলিতে। সস্তা ও সজলভ্য হওয়ায় ছিন্নমূল এসব শিশুদের মাঝে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে এ নেশার বিস্তার। ড্যান্ডি কেনার টাকা জোগাড় করতে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কাজেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ শিশুরা বলছে- ড্যান্ডি খেলে নাকি রাজার মতো মনে হয়।
তালিকাভুক্ত টলুইন মাদক দিয়ে ড্যান্ডি নামক আঠা তৈরি হয়, যা সাধারণত মেলে হার্ডওয়ারের দোকানে। এটি সংগ্রহের নেই কোনো বিধিনিষেধ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তররেও নেই কোনো মাথাব্যথা।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিরোধ শিক্ষা) মো. মানজুরুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্সের প্রক্রিয়া, ঘাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আনা নেওয়া এটা একটা দুরূহ ব্যাপার, তারপরও কিন্তু আমাদের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপির আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসাইন বলেন, যখন তারা অপরাধ করে থাকে এই ড্যান্ডিটা গ্রহণ করার জন্য তখন তাদের ধরা হয়।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা- ড্যান্ডি সেবনে দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক ক্ষতি হয়। হয়ে যেতে পারে পাগলও।
বিএসএমএমইউয়ের মনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সালেহউদ্দিন কাউসার বিপ্লব বলেন, এটি গ্রহণ করলে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে একটি হলো তাৎক্ষণিক, আরেকটি হলো দীর্ঘদিন ধরে গ্রহণ করলে মানসিক রোগ হতে পারে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, পথশিশুদের প্রায় ৮৫ শতাংশই মাদকাসক্ত।