কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এফএও’র ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন আগামী ৮ মার্চ থেকে ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চারদিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সোমবার (৭ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জানানো হয়, সম্মেলনে ৪৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া, সদস্য রাষ্ট্র, এফএও’র মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রায় ৯০০ জন নিবন্ধন করেছেন, যা এপিআরসি সম্মেলনে রেকর্ড।
সম্মেলনের প্রথম দুই দিন (৮-৯ মার্চ) কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। শেষ দুই দিন (১০-১১ মার্চ) কৃষিমন্ত্রীদের মিটিংয়ের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিং বা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও এফএও’র মহাপরিচালকের বুধবার (৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির সাথে এবং রোববার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৭টি স্টল থাকবে।
এবারের সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় হলো, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, এ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয় এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ। ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে করণীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা একটি বিশেষায়িত সংস্থা; যা বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা নিরসনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এফএও’র সদস্যভুক্ত হয়।
এফএও’র ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ২০২০ সালে ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।
বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এবারের এ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনবে এবং বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ১টি স্টিয়ারিং কমিটি এবং ১৪টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির কারণে সম্মেলনটি সরাসরি ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজন করা হয়েছে।