রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তেলের দাম ছাড়িয়ে গেছে ১৩ বছরের রেকর্ড। ২০০৮ সালের পরে তেলের দাম কখনোই এতটা বাড়েনি।
রোববার (৬ মার্চ) ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯ ডলারে। যদিও ওইদিনই দাম কমে ১৩০ ডলারে নেমে আসে।
এদিকে একের পর এক রাশিয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও, জ্বালানি তেলের ওপরে এখন পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, রাশিয়ার ওপরে অবরোধ দেওয়া হলে তেলের বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। এতে করে তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণে গিয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলমান সংকটে গত সপ্তাহেই তেলের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে যে গত সপ্তাহজুড়ে পেট্রোলের দাম ১১ শতাংশ বেড়ে ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। আরএসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে পেট্রোলের দাম গড়ে প্রতি লিটারে ১ পাউন্ড ৫০ পেনি বেড়েছে।
কেবল তেলের দামই নয়, যুদ্ধের প্রভাবে বেড়েছে গ্যাসের দামও। যুক্তরাজ্যে বসতবাড়িতে বার্ষিক গ্যাসের বিল তিন হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাশিয়া থেকে সরবরাহ কমে যেতে পারে এই আশঙ্কায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে গ্যাসের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।