ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের দেওয়া বিবৃতিতে এ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিয়েভ শহরে হামলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জড়ো করতে শুরু করেছে মস্কো বাহিনী। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে বিভিন্ন পদাতিক সেনাদল কিয়েভের নিকটবর্তী শহর ইরপিনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখান থেকে হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করবে তারা।
ওই বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, রুশ কমান্ডাররা তাদের বাহিনীগুলোকে বেলারুশ থেকে নিয়ে আসা জ্বালানি সরবরাহ করছেন। চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে জ্বালানি পাঠানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিকোলায়িভকে ঘেরাও করে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার কোনো সেনা সদস্য যুদ্ধাপরাধ করলে তাকে কবরে যেতে হবে। কবর ছাড়া এই পৃথিবীতে আপনাদের জন্য কোনো শান্তির জায়গা থাকবে না।
স্থানীয় সময় রোববার (৬ মার্চ) রাতে মস্কোর সেনাবাহিনীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ হুঁশিয়ারি দেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, হামলা চলাকালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে হত্যা করলে রুশ সেনাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ইউক্রেনে রুশ হামলা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সোমবার (৭ মার্চ) ১২তম দিনেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রুশ হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলো নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে।
যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে দুই দফায় বৈঠকে বসেন। তবে দুবারই বৈঠক কোনো কাজে আসেনি। ইউক্রেন বলছে, তারা চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।