তিন মাসের জন্য ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (৭ মার্চ) সকালে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন। সেই সঙ্গে সরকারের হিসাব রাখতে বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তেল দেওয়ার পরামর্শ তার।
হু হু করে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বাজার। খোলা তেল ১৪৩ আর বোতলজাত তেল ১৬৮ টাকার সরকার নির্ধারিত দর কোনো কাজেই আসছে না বাস্তবে। বাজারে তেলের দাম ছুঁয়েছে ১৮০ টাকায়।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের মতবিনিময় সভা। মুখোমুখি আলোচনায় মিল মালিক, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের তীর মিলার ও পাইকারদের।
আমদানিকারকেরা বলছেন, নিয়মিত সরবরাহের পাশাপাশি সরকারকে হিসাব দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে পাইকাররা বলছেন, মিল থেকে সময় মতো মিলছে না তেল।
এফবিসিসিআই এর সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজারে সংকট নেই। যে জিনিসটা হচ্ছে তারা মনে করছে, আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দাম বাড়ছে এবং সামনে আরও বাড়বে। তাই তারা পণ্য মজুত করে রাখছে।
তারা আরও জানান, কেউ কোনো পণ্য সরবরাহ করছে না, উল্টো বাহাদুরি করছে। সারা পৃথিবীতে যেভাবে বাজার চলছে, দেশেও সেভাবে চলার ব্যবস্থার করে দেন।
এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী তিন মাসের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি এফবিসিসিআই’র। সংগঠনের সভাপতি বললেন, নিজস্ব বাজার তদারকি সেল গঠন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, আগামী দিনের দামে আগামী দিনেরটা বিক্রি করবেন। আজকের দামে আজকেরটা বিক্রি করতে হবে এবং তার নিশ্চিয়তা দিতে হবে। তেলের মজুত সারা পৃথিবীতে কীভাবে করে? তেলের মজুত থাকে সরকারের বন্ডের মধ্যে। বন্ড থেকে ডিউটি দিয়ে তারা তেল নিয়ে বিক্রি করে। কিন্তু আমরা সেটা উঠিয়ে দিয়েছি। কেন উঠালাম? কার জন্য উঠালাম?
এদিকে ১৫ দিন পর পর আমদানি, সরবরাহ ও দাম সমন্বয়ের আহ্বান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির। তারা বলেন, প্রতি ১৫ দিন পর পর যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এফবিসিসিআই এর সঙ্গে মিলে সিদ্ধান্তগুলো নেয়, তাহলে বাজার দর নির্ধারিত থাকবে। এতে মজুত করার প্রবণতা কমবে।
বছরের শুরুতে ১ হাজার ৩২১ ডলারের তেল রোববার (৬ মার্চ) ১ হাজার ৮৭০ ডলারে এলসি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।