ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর দুই থেকে চার হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এমন দাবি করেছেন।
প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটিকে দেওয়া এক ব্রিফে ডিআইএ পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট ব্যারিয়ার বলেন, ইউক্রেনে কত সংখ্যক রুশ সেনা নিহত হয়েছেন, তার মূল্যায়নে মার্কিন গোয়েন্দাদের আস্থা কম। তবে দুই থেকে চার হাজার রুশ সেনা নিহত হতে পারেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার এক জেনারেল—মেজর জেনারেল ভিটালি গেরাসিমভ—কারকিভের যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তবে তার নিহত হওয়ার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা আত্মসমর্পণ করবেন না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া ভিডিও বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, একটি বড় দেশের একজন নাগরিক ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি কথা বলছি। আমাদের একটি স্বপ্ন আছে, চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, আমরা হারব না, আত্মসমর্পণও করব না। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে দেশের মাটির জন্য আমরা লড়াই করব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন আমেরিকার পরিবারগুলোতে আঘাত করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে গ্যাস ও তেলের দাম বেড়ে গেছে। রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্তের খেসারত যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে নিজেদের দেশেও খেসারত দিতে হবে আমাদের। পুতিনের যুদ্ধ গ্যাস উত্তোলনে আমেরিকার পরিবারগুলোতে আঘাত করতে শুরু করেছে। ইউক্রেন সীমান্তে রুশ প্রেসিডেন্ট সামরিক জমায়েত শুরু করার পর থেকে আমেরিকায় গ্যাসের দাম ৭৫ সেন্ট বেড়েছে। তার পদক্ষেপ যত জোরালো হচ্ছে, আমাদের কষ্টও বাড়ছে তত।
তিনি বলেন, এখানে পুতিনের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি কমিয়ে আনতে যা করা সম্ভব, আমরা তা-ই করব। আমেরিকার তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে উদ্দেশ্য করে বাইডেন বলেন, যুদ্ধ ও তার প্রভাবকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে দেশে কোনোভাবেই মূল্য বাড়ানো যাবে না। কারণ তাতে আমেরিকার ভোক্তাদের শোষণ করা হবে, আমরা তা সহ্য করব না।
সবাইকে রুশ আগ্রাসনের খেসারত দিতে হচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, সময়টি মোটেও অতিরিক্ত লাভ কিংবা মূল্যবৃদ্ধির না। এ রকম কিছু করা হলে আমরা সহ্য করব না বলে পরিষ্কার বলে দিচ্ছি। এখন নিজেদের দায়িত্ব পালনের সময় হয়েছে আমাদের।