মোঃহোসেন,স্টাফ রিপোটার ঃ-
বরিশালঃবরিশালে এক সময়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে নারীদের তেমন দেখা যেত না। তবে গেল একদশক ধরে প্রায় সব অঙ্গণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন নারীরা।
নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন স্থানীয় নির্বাচন, সভা-সেমিনার ও রাজনৈতিক মিছিলে। চাকরি করছেন সরকারি-বেসরকারি ও এনজিও সংস্থায়। পাশাপাশি বরিশালে বাড়ছে নারী শিক্ষার হার। গত কয়েক বছর ধরে বরিশাল বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ ও জিপিএ-৫ ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে বরিশাল বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে পাশের হার ছেলেদের তুলানায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। পাস করা ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ৩০ হাজার ২৮৯ জন এবং মেয়ে ৩৩ হাজার ৬৭৫ জন। জিপিএ ৫ পাওয়া ৯ হাজার ৯৭১ জনের মধ্যে ছেলে তিন হাজার ৪৮১ এবং মেয়ে ছয় হাজার ৪৯০ জন রয়েছে।
২০২১ সালের এসএসসি ফলাফলে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৯ ভাগের মধ্য মেয়েদের পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ ভাগ ও ছেলেদের পাশের হার ৮৯ দশমিক ১৭ ভাগ।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, বরিশাল বোর্ডে গত কয়েক বছর যাবত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ ও জিপিএ-৫ ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
বরিশাল জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডাক্তার মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন,বরিশালে গত এক দশকে নারী নেতৃত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আরো বাড়ত সরকার যদি নারী নেতৃত্ব দেয়ার নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করত।
তারপরও নারীরা আজ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। বাসদ সবসময়ই নারী নেতৃত্ব সৃস্টি করার জন্য কাজ করছে। তারই ধারাবাহিতায় নগরীর ১৫ টি ওয়ার্ডে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম গঠন করে নারী নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মনীষা চক্রবর্ত্তী।
এনজিও আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল বলেন, এক সময় নারীদের সামাজিক,রাজনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে খুঁজে পাওয়া যেত না। এখন সামাজিক, রাজনৈতিক, উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং বিচার-শালিসেও নারীনেতৃত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় নিবার্চন থেকে শুরু করে দেশের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে নারীরা আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ নারীর উন্নয়ন-বিকাশ ও নারীদের সামনে আনার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃতির জন্য বঙ্গমাতা, জয়িতা ও বেগম রোকেয়া সহ বিভিন্ন পদক প্রদান চালু করেছে সরকার। তারই ফলে দেশে আজ নারীরা সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরীর সুযোগ পাচ্ছেন।