রাশিয়ার ৩৮৬ এমপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের জবাবে শুক্রবার (১১ মার্চ) এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত মাসে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে এসব এমপিরা ভোট দিয়েছিলেন।
এবার তাদের সম্পদ জব্দ ও রাশিয়ায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য বলছে, দোনেৎসক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতির মাধ্যমে ইউক্রেনে অভিযানের অজুহাত বের করেছে রাশিয়া।
গেল মাসে রুশ এমপিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ব্রিটেন। এসব এমপিরা যুক্তরাজ্যে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের অভিযানে যারা সহায়তা করেছেন, যারা যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের চাপ কমিয়ে আনার কোনো সুযোগ দেব না। বরং রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও কঠোরভাবে চেপে ধরা হবে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সাত অলিগার্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যাদের মধ্যে চেলসি এফসির মালিক রোমান আব্রামোাভিচও আছেন।
এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়ে রাশিয়ায় বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রুশ বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
এর আগে বোয়িং ও এয়ারবাসও রাশিয়ায় যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনে অভিযানের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে রাশিয়ার বিমান খাত। চলতি সপ্তাহে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যাপক হুমকিতে।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় বিমান প্রতিরক্ষা সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়ার কর্মকর্তা ভ্যালেরি কুডিনোভ বলেন, চীনের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে এবার তারা তুরস্ক ও ভারতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, এখন রাশিয়ায় কোম্পানিগুলো নিজ দেশেই নিবন্ধন করছে। আগে এগুলো বিদেশে নিবন্ধিত ছিল।
এদিকে রাশিয়াকে সবচেয়ে অনুকূল দেশের মর্যাদা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জি৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও যোগ দেবে তার সঙ্গে। এতে এই পদক্ষেপ নেওয়া দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার আর স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক থাকছে না।