 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ব্যাপকতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। প্রথমবারের মতো লুৎস্ক, ইভানো ফ্রানকিভস্কসহ বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছেন পুতিনের সেনারা।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই অব্যাহত বোমা হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মারিওপোল। শহরটিতেই ১২ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি কিয়েভের। এদিকে রুশ সেনারা গত একদিনে রাজধানী কিয়েভের দিকে আরও পাঁচ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।
মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণে কাঁপছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। যুদ্ধবিরতি মানা তো হচ্ছেই না বরং নতুন নতুন শহরে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। লুৎস্ক, ইভানো ফ্রানস্কিভস, দিনিপ্রোতে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে বন্দর নগরী মারিওপোলেও গোলা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের এ যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর মারিওপোল এখন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। শহরটির পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। খাবার পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকটে দিশেহারা স্থানীয়রা। এমনকি অবরুদ্ধ মারিওপোলে শিশুদের জন্যও নেই পর্যাপ্ত খাবার। রুশ সেনারা গেল কয়েকদিন ধরেই শহরটি ঘিরে রেখে সেখানে আক্রমণ চালাচ্ছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন বলেও জানান মারিওপোলের উপ-মেয়র।
তিনি বলেন, লোকজনকে নগরী থেকে বের করা এখন কঠিন। তারপরেও প্রশাসন চেষ্টা করছে স্থানীয়দের রক্ষা করতে।
এদিকে রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি চলে এসেছে রাশিয়ার বাহিনী। শেষ পাঁচদিনেই রুশ সেনারা কিয়েভের দিকে ৮০ কিলোমিটার ও গেল ২৪ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। তবে তাদের প্রতিরোধ করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। কিয়েভের খুব কাছাকাছি অবস্থান করা রুশ বাহিনীর বেশ কয়েকটি ট্যাংক ধ্বংসের দাবিও করেছে ইউক্রেন। এরইমধ্যে আরেক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ভলনোভাখা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রুশ পন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
এ ছাড়া খারকিভ, চেরনিহিভসহ বেশ কয়েকটি শহরে এখনো জোরাল অভিযান চালিয়েই যাচ্ছে রাশিয়া। তবে পাল্টা অভিযান অব্যাহত আছে বলে দাবি করছে কিয়েভ।