চীনের মূলখণ্ডে একদিনে দেড় হাজারের বেশি লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০২০ সালের শুরুতে দেশজুড়ে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শনিবার। অর্থাৎ গত দুই বছরের মধ্যে এত বেশি সংক্রমণ আর দেখা যায়নি।
এতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে দেশটিতে। চীনে দৈনিক সংক্রমণ অন্য অনেক দেশের চেয়ে খুবই নগণ্য। কিন্তু প্রতিনিয়ত সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরও জটিল করে তুলবে।
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, চীনে শুক্রবার শনাক্ত কোভিড রোগীদের মধ্যে ৪৭৬ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। এদের মধ্যে ৫ জনকে প্রথমদিকে উপসর্গহীনদের তালিকায় রাখা হলেও পরে তাদের দেহে উপসর্গ দেখা দেয়।
এদিন শনাক্তদের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে সংক্রমিত ১০৪৮ জনের উপসর্গ নেই। আগের দিনও এই সংখ্যা ছিল ৭০৩। চীনে উপসর্গ না থাকলে সংক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে চিন্তিত দেশটির অনেক শহরের কর্তৃপক্ষকে এখন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক লোক উপস্থিত হতে পারে এমন অনুষ্ঠান বাতিল, গণ শনাক্তকরণ পরীক্ষা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুখোমুখি পাঠদান বন্ধসহ নানান পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত প্রদেশগুলোর একটি জিলিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শহরের মেয়র ও চ্যাংচুন জেলার প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন।
সেখানকার অপরিহার্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছাড়া সবকিছু স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরটির ৯০ লাখ বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাইয়ের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্ট দর্শকসংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। রোববার থেকে সেখানে ঢোকার ক্ষেত্রে দর্শকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা শনাক্তে নিউক্লিয়িক এসিড টেস্টের নেগেটিভ ফল দেখাতে হবে।
গুয়াংজুর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক কোভিড রোগী সম্প্রতি চীনের সবচেয়ে পুরনো ও বড় বাণিজ্য মেলা ক্যান্টন ফেয়ার ঘুরে যাওয়ায় তারা মেলার ভেন্যু সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।