রুশ ধনকুবের অ্যান্ড্রেই আইগোরেভিচ মেলনিচেনকোর একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী জব্দ করেছে ইতালির পুলিশ। শনিবার (১২ মাচ) দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর এই অলিগার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ৫৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তরীটি ৪৭০ ফুট লম্বা।
তরীটির নকশা করেছেন ফিলিপে স্টার্ক আর নির্মাণ করেছে জার্মানির নোভিচক্রুগ। প্রমোদতরীটির নাম সেইলিং ইয়ট এ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী।
সার উৎপাদক ইউরোচেম ও কয়লা কোম্পানি সিউয়েকের মালিক অ্যান্ড্রেই আইগোরেভিচ মেলনিচেনকো। এক বিবৃতিতে কোম্পানি দুটি জানিয়েছে, দুই কোম্পানির বোর্ড সদস্যের পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া স্বত্বভোগী থেকেও সরে দাঁড়ান এই রুশ ধনকুবের।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ এসে প্রমোদতরীতে উঠছে।
এদিকে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ করলে তাতে সংঘাতের আরও অবনতি ঘটবে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভ। শনিবার (১২ মার্চ) তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের বহরকে হামলার নিশানা বানাতে পারে রুশ সামরিক বাহিনী।
রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়াকভ বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি করে বলছে, কয়েকটি দেশ থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে শক্তিশালী করা কেবল বিপজ্জনক পদক্ষেপই না, এসব অস্ত্র বহরকে বৈধ হামলার নিশানাও করা হচ্ছে।
তবে কোথায়, কখন অস্ত্র বহরকে হামলার নিশানা করা হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, রাশিয়াকে বহনযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বিপজ্জনক অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদেরই হুমকির মুখে ফেলছে।
যুদ্ধ শেষে এসব অস্ত্র অন্যদের হাতে চলে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেন, আসছে বছরগুলোতে হাতে বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেন ও ইউরোপের বেসামরিক বিমান পরিবহনের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রিয়াকভ বলেন, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে মস্কোর সঙ্গে আলোচনার অবস্থান দুর্বল করে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এতে সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান কখনোই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে না। ওয়াশিংটনের এজেন্ডায় এখন উত্তেজনা বাড়ানোর নীতিই প্রাধান্য পাচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেনকে উড়াল-নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণায় তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে পশ্চিমা নেতারা।