ভ্যাকসিন কার্যক্রম ভালোভাবে হওয়ায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বর্তমানে ৭৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছে বলে জানান মন্ত্রী।
রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের জন্য ইউরোপ-আমেরিকায় চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সাড়া পাইনি। তখন চীন ৩ মাসের মধ্যেই ৭ কোটি টিকা দিয়েছিল। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়ার কারণে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিকসহ সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তবে করোনা এখনো চলে যায়নি। নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে। তাই আগামী দিনেও আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে আমরা কমিটি করে দিয়েছি। কেউ দোষী প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে শনিবার (১২ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে আমরা ২০০ দেশের মধ্য অষ্টম স্থানে আছি। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ও তার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অনেক কম। ৩২ হাজার লোক করোনায় মারা গেছেন। ভারতে ৫ লাখ লোক মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশে ১০ লাখ লোক মারা গেছেন। সেই তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি দেশে দেশে চলছে টিকা কার্যক্রম। ফলে বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
রোববার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭ জন। এ সময় মারা গেছেন আরও ৪ হাজার ৫০৯ জন।
এর আগে শনিবার (১২ মার্চ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৩ জন। এ সময় মারা যান ৫ হাজার ৯৪৬ জন। তার আগের দিন শুক্রবার (১১ মার্চ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আরও ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৩ জন। এ সময় মারা যান আরও ৬ হাজার ৬২১ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, রোববার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ কোটি ৬৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৬১৯ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬০ লাখ ৬২ হাজার ১৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।