পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারই দলের সংসদ সদস্যদের একাংশ। প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন) নেতা রানা ইহসান আফজাল খান এমনটা দাবি করেছেন।
আফজাল খান বলেছেন, বিরোধীরা আত্মবিশ্বাসী যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব উতরাতে পারবেন না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ক্ষমতাসীন দলের ২৬ সদস্যই সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে ইচ্ছুক।
রোববার দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতাদের একাংশ। জাহাঙ্গীর খান তারিনের নেতৃত্বাধীন এ অংশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবেও সমর্থন দেবে।
পিটিআই নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে গত মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকারের প্রতি লিখিত আবেদনও জানিয়েছে তারা। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট নিম্নকক্ষে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব পাসের জন্য প্রয়োজন ১৭২ ভোট।
খবরে বলা হয়, ইমরানের নেতৃত্বাধীন পিটিআইয়ের যে অংশটি জাহাঙ্গীর খান তারিনকে সমর্থন করে থাকে, তারা এ অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আরও বলেছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে বিরোধীরা যদি তার জায়গায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ–কিউ (পিএমএল-কিউ) নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে চান, তাতেও সমর্থন দেবে তারা।
সূত্র বলছে, জাহাঙ্গীর তারিনকে সমর্থনকারী পিটিআইয়ের অংশটির ৮–১০ জন আইনপ্রণেতা জাতীয় পরিষদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় সমর্থন জানাবেন। আর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানাতে পারেন পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের ২২–২৬ জন সদস্য।
এ অংশ পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আলীম খানকে সমর্থন দিতে রাজি নয়। এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তারা বলেন, ‘আমরা অতীতে যখন উসমান বুজদারের বিরোধিতা করেছি, তখন আলীম কোনো পক্ষে যোগ দেননি।’