পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম -এমপি বলেছেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
তিনি না থাকলে আজ আমরা বাংলাদেশের মতো এমন একটি দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। আমরা জাতির পিতার পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি একই সাথে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পালন করছি। আগামী ১৭ মার্চ আমাদের জাতির পিতার জন্মদিন।
সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জাতির পিতা সারাটা জীবন কাজ করেছেন। তিনি খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কথা ভেবেছেন। তিনি জীবনের ১৪ টি বছর কারাগারের ভেতরে ছিলেন।
আজ আমরা যে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরেছি, সবাই একত্রিত হয়ে আনন্দ করছি সবকিছু সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার জন্য। তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রোববার (১৩ মার্চ) বরিশাল নগরীর কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল,পৃথিবীর বড় বড় দেশ, সমৃদ্ধশালী দেশ বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। কিভাবে একটা ছোট দেশ, যেখানে এতো জনসংখ্যা তারপরও সেই দেশ কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিতি ছিলো,আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পৌছে গেছি। আমরা ২০৩০ সালের ভেতরে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের ভেতর সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবো।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমৃদ্ধশালী দেশে পৌছাতে হলে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো তাহলে দেশ সমৃদ্ধশালী হবে।
তোমরা যদি ভবিষ্যতের জন্য লেখাপড়া করো, ভালো ও সুস্থ থাকো, তোমরা যদি মাদক থেকে দূরে থেকে খেলাধুলা ও পড়াশুনায় মনযোগী হও তাহলে এ দেশ এগিয়ে যাবে।
আজ যারা বিজয়ী হতে পারোনি, আগামীতে পারবে। আর যারা বিজয়ী হতে পারোনি তারা যদি আগামীতে বিজয়ী হও তাহলে মনে করবো তোমাদের মাঝে একটা জেদ রয়েছে। যেটা ভালো করার জন্য। আর এরমধ্য দিয়ে কর্মক্ষেত্রেও সফলভাবে তোমরা পরিচিতি হতে পারবে।
তিনি বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু করেছেন। এই পায়রা বন্দর, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়নের কারনে বরিশাল বিভাগীয় শহর হিসেবে, এখানে অনেক অফিস হবে। বিদেশীরা এসে অফিস করবে।
এখানকার শিল্প-কারখানা, অফিসে যদি নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাও, তাহলে নিজেদের লেখাপড়া করে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
দুটিভাবে নিজেদের তৈরি করতে হবে একটি হলো খেলাধুলা করে শারিরীকভাবে নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করা আর দ্বিতীয়টা হলো লেখাপড়া করে। যারা লেখাপড়া-খেলাধুলা করে না, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদকাসক্তে আসক্তি হওয়ার প্রবণতা থাকে।
যদি একটি পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হয়, তাহলে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যায়। আমি আশাকরি সকল ছেলে-মেয়ে লেখাপড়ায় মনযোগী হবে। দেশকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে।
এসময় তিনি কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে উত্থাপিত কিছু সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং বন্ধ থাকা বিদ্যালয় ভবনের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি।
এ-সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃজসিম উদ্দিন হায়দার।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, বিসিসি’র ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন ভুলু, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন রুবেল, ২৯নং ওয়ার্ড ফরিদ আহমেদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিসিসি’র ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব।