বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মীরগঞ্জ মুলাদি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। রাকুদিয়া নতুন হাটে মুদি দোকানে চুরি কাশ্মীর হামলার পর চরম উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর মুফতি আরিফ বিন হাবিবের খোলা চিঠি প্রদান  কাউনিয়া আরজু মনি স্কুল সংলগ্ন  ভাঙ্গারির ব্যবসার আড়ালে মুন্নি ও হানিফের প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা  বরিশাল মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তারিকুল ইসলাম ঝুনুকে দেখতে চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও রুটিন মাফিক কাজ ছাড়া অন্য কোন দায়িত্ব নেই — আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বরিশালের কাজির হাট থানায় বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে সেনা সদস্যের নামে মিথ্যা মামলা। বরিশাল আদালতের সামনে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার জন্য অবস্থান কর্মসূচি করে আগামী ৩ বছরের জন্য বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ।

পুতিনকেও হুমকি: বিদেশি নেতাদের হত্যায় মার্কিন ইতিহাস

একুশে বিডি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২
  • ৭৮ জন নিউজটি পড়েছেন

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। এদিন রচিত হয়েছিল ইতিহাসের অন্যতম এক কালো অধ্যায়। যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে সেদিন হামলা চালানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে প্রথম একটি বিমান আঘাত হানে ভবনটির নর্থ টাওয়ারে। প্রায় ১৭ মিনিট পর সাউথ টাওয়ারে আঘাত হানে আরও একটি বিমান।

অল্প সময়ের মধ্যেই ধসে পড়ে সুউচ্চ ভবন দুটি। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনে আছড়ে পড়ে তৃতীয় বিমানটি। আর সকাল ১০টার কিছু পরে চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে। এসব হামলায় প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার মানুষ।

ভয়াবহ সেই হামলার দুই দশক পার হয়েছে। কিন্তু এর রেশ এখনো কাটেনি। কারণ, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হামলার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করার পর তার জঙ্গি সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করতে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। যার প্রভাব পড়ে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বদলে যায় বিশ্ব রাজনীতির অনেক সমীকরণ। শুরু হয় হামলা, পাল্টা-হামলা ও গুপ্তহত্যা।

এ ঘটনার আগে ও এরপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিহিংসা, ক্ষমতার রাজনীতি, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ধর্মীয় বা মতাদর্শগত পার্থক্য থেকে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন বিশ্ব নেতা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তি। এসব কিছুর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ভূমিকা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এসব টার্গেটেড কিলিং-কে ন্যায্যতা দিতে অজুহাত-অভিযোগের অভাব নেই ওয়াশিংটনের।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর যেসব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা নজিরবিহীন। বৈদিক মুদ্রার রিজার্ভ জব্দ, আন্তর্জাতিক লেনদেনের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান ‘সুইফটের’ সদস্য পদ বাতিল, প্রায় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, খেলাধুলা থেকে শুরু করে সংস্কৃতি-এমন কোনো অঙ্গন বাকি নেই, যেখানে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি পশ্চিমারা।

তবে চলমান এ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যখন মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনসহ মস্কোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছে, ঠিক তখন আবার অনেকে প্রশ্ন তুলছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়েও। কারণ তাদের হাতেও রয়েছে রক্তের দাগ। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের আছে কিনা, সেই প্রশ্ন এখন সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

আর এই বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতিই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হত্যার মাধ্যমেই পুতিনকে সরিয়ে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন গ্রাহাম। সিনিয়র একজন মার্কিন কর্মকর্তার এ মন্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবেরই প্রতিচ্ছবি মনে করছেন অনেকে।

শুধু অন্য দেশের নেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তিরা নন, নিজ দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে রেহাই পাননি খোদ যুক্তরাষ্ট্রেরই চারজন প্রেসিডেন্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বিশ্বব্যাপী এমন কয়েকজন রথী-মহারথীর হত্যা বা গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে।

মুয়াম্মার গাদ্দাফি

টানা ৪২ বছর উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার শাসনক্ষমতায় ছিলেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তবে আরব বসন্তের ঢেউয়ে তার ক্ষমতার মসনদ নড়বড়ে হয়ে উঠলে সির্তের যুদ্ধের পর ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট বিরোধী একটি গোষ্ঠীর হাতে হত্যার শিকার হন তিনি।

ন্যাটোর বিমান হামলার পর গাদ্দাফির কনভয় বা গাড়িবহর পাওয়া গিয়েছিল সির্তের পশ্চিমে। এরপর গাদ্দাফিকে বন্দী করে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) বাহিনী এবং এর কিছুক্ষণ পরই তাকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর এনটিসি প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল যে, গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করার সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। যদিও পরে শেষ মুহূর্তের একটি গ্রাফিক ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্রোহী যোদ্ধারা তাকে মারধর করছে এবং তাদের মধ্যে একজন গাদ্দাফিকে গুলি করার আগে বেয়নেট দিয়ে আঘাত করছে।

২০১১ সালের আগস্টে এনটিসি বাহিনীর হাতে ত্রিপোলির পতনের পর, গাদ্দাফি এবং তার পরিবার লিবিয়ার রাজধানী থেকে পালিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ব্যাপক গুঞ্জন ছিল। প্রকৃতপক্ষে ত্রিপোলির পতনের দিন গাদ্দাফি সির্তে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

এটা স্পষ্ট নয় যে বিরোধী বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার আগে সেখানে ন্যাটোর ভূমিকা কী ছিল। তবে তাদের বিবৃতি অনুযায়ী, বিমান হামলার সময় ন্যাটো অবগত ছিল না যে গাদ্দাফি ওই গাড়িবহরে আছেন। এদিকে গাদ্দাফি নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাদ্দাফিবিরোধী চূড়ান্ত অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনও অংশ নিয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি মার্কিন শিকারি ড্রোন গাদ্দাফির মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তার কনভয়ে হামলায় জড়িত ছিল। পরে নাম প্রকাশ না করে এক মার্কিন কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে বর্ণনা করেছিলেন ‘পেছন থেকে নেতৃত্ব দেওয়া’ হিসেবে।

সাদ্দাম হোসেন

নাইন-ইলেভেনের পর আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর কিছুদিন পর ২০০৩ সালে মার্কিন হামলা শুরু হয় ইরাকে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ইরাকে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুত করেছেন দাবি করে ওই হামলা চালানো হয়। যদিও ওয়াশিংটনের এই দাবির সত্যতা মেলেনি।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০৩ সালের ১৭ মার্চ সাদ্দামকে ক্ষমতা ছাড়তে বলেন এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরাক ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তা ন- হলে ইরাককে যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ ছাড়া সাদ্দাম দেশ ছেড়ে গেলেও, নতুন সরকারকে স্থিতিশীল করতে এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সন্ধানে মার্কিন বাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন বুশ।

কিন্তু সাদ্দাম হোসেন দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ২০ মার্চ ইরাকে আক্রমণ শুরু করে মার্কিন ও মিত্র বাহিনী। একই বছরের ডিসেম্বরে নিজ শহর তিকরিতের কাছের একটি গুহা থেকে সাদ্দামকে আটক করে মার্কিন সেনারা। এরপর ইরাকের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০০৬ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাদ্দামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এ ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদকারী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএয়ের সাবেক এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, মূলত নাইন-ইলেভেনের পরই ইরাকি প্রেসিডেন্টকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়াশিংটন।

কাসেম সোলাইমানি

ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই মূলত একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন উপায়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার ইরানের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে জড়াতে চাইলেও বরাবরই তা এড়িয়ে গেছে ইরান। কারণ সম্মুখযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে দমন করা যে প্রায় অসম্ভব, তা জানত তেহরান। ফলে ওয়াশিংটনকে দমাতে তারা বেছে নিয়েছে ছায়াযুদ্ধের কৌশল। আর এই কৌশলের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইরানের কুদস বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি।

২০০৩ সালের ৩ জানুয়ারি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সিআইএ ও মোসাদের হিট লিস্টে ছিল।

মৃত্যুর পর ইরানে জাতীয় বীরের মর্যাদা পেয়েছেন সোলাইমানি। জেনারেল সোলাইমানির মেধা ও সাহসিকতার গল্প পরবর্তীতে ছাড়িয়ে গেছে ইরান কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের গণ্ডিও।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে যেকজন ব্যক্তির গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম মার্টিন লুথার কিং। জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায়। প্রথমে তার নাম রাখা হয় মাইকেল কিং জুনিয়র। পরে বিখ্যাত জার্মান সংস্কারক মার্টিন লুথারের নামানুসারে তার নাম রাখা হয় মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।

সারা জীবন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া কিংবদন্তি এই নেতার নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গরা পেয়েছে শ্বেতাঙ্গদের সমান অধিকার। নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন মার্টিন লুথার কিং। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ।

১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টোগমারীতে বাস ধর্মঘট কিংবা ১৯৬৩ সালের ফ্রিডম মার্চ, ঐতিহাসিক এমন অনেক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং। কিন্তু অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ রেখে অকালেই পৃথিবী ছাড়তে হয় তাকে। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল হত্যার হুমকি পান তিনি। এ সময় তাকে দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে সকলকে হিংসা ত্যাগের আহ্বান জানান অকুতোভয় লুথার কিং। পরদিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল একটি ধর্মঘটে সমর্থন দিতে মেমফিসে যান তিনি। ওঠেন লরেইন নামের একটি হোটেলে। সেদিন সন্ধ্যায় ওই হোটেলেই আততায়ীর গুলিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে নিহত হন লুথার কিং।

ফিদেল কাস্ত্রো

শুধু হত্যা নয়, একাধিক হত্যাচেষ্টার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এর মধ্যে ঘুরেফিরে যাদের নাম আসে, তাদের মধ্যে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন, কঙ্গোর সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান প্যাট্রিক লুমুম্বা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল ট্রুজিলো, তৎকালীন দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট জিও দিন দিয়েম, চিলি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার-ইন-চিফ রেনে স্নাইডার অন্যতম।

তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ফিদেল কাস্ত্রো। তার নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফেবিয়ান এসকালান্তের মতে, ১৯৫৯ সালে কিউবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চুরুটে বিস্ফোরক গুঁজে দেওয়া, ডাইভিং স্যুটে বিষ মাখিয়ে দেওয়ার মতো অভিনব নানা পন্থায় কাস্ত্রোকে ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। এর মধ্যে কাস্ত্রোকে ৮ বার হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও। ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর ৯০ বছর বয়সে হাভানায় মারা যান কিউবার সমাজতান্ত্রিক এই নেতা।

ইতিহাস বলে, এযাবৎকালে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি গুপ্তহত্যা ঘটিয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কেজিবি। তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্দরমহলে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় সিআইএর নাম। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন এই সংস্থাটির চোখ ফাঁকি দেওয়া প্রায় অসম্ভব। আর যেকোনো গুপ্তহত্যায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় হলে সেখানে সব সময় নেপথ্যে থাকে এই সংস্থাটি। এ ছাড়া পলিটিক্যাল বা টার্গেটেড কিলিং-এর জন্য বিশ্বব্যাপী হিটম্যান বা ভাড়াটে খুনি নিয়োগেরও অভিযোগ রয়েছে সিআইএর বিরুদ্ধে।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Wednesday, 14th May, 2025
    SalatTime
    Fajr3:53 AM
    Sunrise5:16 AM
    Zuhr11:55 AM
    Asr3:18 PM
    Magrib6:33 PM
    Isha7:57 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102