নরওয়েতে বড় আকারের একটি সামরিক মহড়া শুরু করেছে ন্যাটো। ইউক্রেনে অভিযান নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমের টানটান উত্তেজনার মধ্যে সোমবার এই মহড়া শুরু হয়। ‘কোল্ড রেসপোন্স ২০২২’ নামের এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার সেনা, ২০০ যুদ্ধবিমান ও ৫০টি যুদ্ধজাহাজ।
রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের ১৭তম দিনে ন্যাটো এই সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয়। তবে অভিযান শুরুর বেশ আগেই এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটিকে চলতি বছরে ন্যাটো সেনাদের সবচেয়ে বড় মহড়া হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই মহড়ার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো আর্কটিকসহ নরওয়ের ঠাণ্ডা জলবায়ু, মাটি, সমুদ্র ও আকাশে তাদের দক্ষতা ঝালাই করে নিতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে।
ন্যাটো সংবিধানের আর্টিকেল-৫ অনুসারে সদস্য দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি সামনে রেখে এই সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে। মহড়ার দায়িত্বে রয়েছেন নরওয়ের সেনাবাহিনীর জেনারের ইংভি ওদলো। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের একটা প্রতিরক্ষামূলক মহড়া। কোনো সামরিক অভিযান নয়।’
নরওয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অড রজার এনোকসেন বলেছেন, ‘এই মহড়া নরওয়ে ও তার মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এর মাধ্যমে নরওয়ের মিত্রদের শক্তিবৃদ্ধির অনুশীলন করব।’ আগামী ১ এপ্রিল এ কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে রুশ বোমাবর্ষণে কার্যত ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহর। বিদেশি অস্ত্রে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিন্তু কিয়েভের শত আর্তি সত্ত্বেও সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে বা সেনা পাঠাতে নারাজ আমেরিকা ও ন্যাটো। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাটো গোষ্ঠীর কাছে আবারও ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার আরজি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার ফের ভারচুয়ালি বিশ্বের উদ্দেশে বার্তা দেন কৌতুক অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠা জেলেনস্কি। প্রায় ১৯ দিন ধরে রুশ আগ্রাসন ঠেকিয়ে গেলেও পরিস্থিতি যে ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে সেই ইঙ্গিত ছিল অসহায় ওই রাষ্ট্রনায়কের গলায়। এদিন জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, যদি ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ না করা হয় তাহলে ন্যাটো ভূখণ্ডে রুশ মিসাইল আছড়ে পড়া সময়ের অপেক্ষামাত্র। ন্যাটোর নাগরিকদের বাড়িতে বোমা পড়বে।’
ন্যাটোর বিরুদ্ধে ইঙ্গিতে ক্ষোভ উগরে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেই ন্যাটোকে সতর্ক করেছিলাম যে আগেভাগেই নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে ইউক্রেনে হামলা চালাবে রাশিয়া।