ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হবে না, এমন শর্ত মেনে নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অভিযানের আগেই রাশিয়া এমন দাবি করে আসছিল। তিনি বলেন, ইউক্রেন বুঝতে পেরেছে, তারা পশ্চিমা সামরিক জোটের অংশ হতে পারবে না।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন এক্সপেডিশনারি ফোর্সের (জেইএফ) প্রতিনিধিদের জেলেনস্কি বলেন, বহু বছর ধরে আমরা শুনে আছি, দরজা খোলা। কিন্তু এখন তার বিপরীত ঘটছে। ন্যাটোর দরজা আমাদের জন্য বন্ধ। আমরা তাদের অংশ হতে পারবো না, আমাদের লোকজন তা বুঝতে পেরেছে। আমরা এখন নিজেদের শক্তি নিয়ে ভাবব।-খবর নিউজউইকের
মিডিয়া আউটলেট নেক্সটার খবর অনুসারে জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে না। আমাদের পর্যাপ্ত লোক আছে। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে কিয়েভের নতুন বিন্যাস ও আলাদা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার।
ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ইস্তোনিয়া, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, দ্য নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও নরওয়ে মিলে জেইএফ গঠিত।
এদিকে এবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনিতা আনন্দের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এখন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিনসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তারাও এই কালোতালিকায় থাকছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এল. অস্টিন ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এম মিল্লি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছে।
এছাড়া বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন অভিযানে তিনি রাশিয়ার মিত্র। এছাড় রাশিয়ার একজন বিচারকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মার্কিন কালোতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
লুকাশেঙ্কোর স্ত্রী হালিনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ থাকলে এ আইনের আওতায় তা জব্দ করা হবে।