শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের প্রতিনিধিদের চতুর্থ দফার বৈঠকের প্রথম দিনে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি মস্কো-কিয়েভ। এদিকে মারিওপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।
মুহুর্মুহু বোমা হামলায় কেঁপে উঠছে একেকটি ভবন। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে একেকটি আবাসিক এলাকা। সোমবারও রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও অন্যান্য স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ সেনারা। এতে বেশ কয়েকজনের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিন কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আন্তোনোভ বিমানবন্দরের কাছেও বোমা হামলা চালানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মারিওপোলে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। শহরটির যেদিকে চোখ যায় কেবল ধ্বংসস্তূপ ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। তীব্র ঠান্ডা ও পানি সংকটসহ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা।
এর মধ্যেই রুশ অভিযান প্রতিহতের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন সেনারা। সবশেষ একদিনে বেশ কয়েকটি রুশ বিমান ভূপাতিত করারও দাবি করেছে তারা। তবে, চলমান যুদ্ধে আবারও পশ্চিমাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী ঘাঁটিতে রুশ হামলার বিষয়েও পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের আকাশকে রুশ বিমান চলাচলের জন্য দ্রুত বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। নয়তো অদূর ভবিষ্যতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটোভুক্ত দেশেও আঘাত হানতে পারে।
এদিকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে চতুর্থ দফার শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময়, সকালে ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে যোগ দেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। আলোচনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা না গেলেও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বৈঠকে অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে বলে প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্রের বরাতে জানা গেছে।