দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় পর ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকালে গণভবনে শুরু হওয়া বৈঠকে জোটের কর্মকৌশলের পাশাপাশি আলোচনায় ওঠে আসে সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরিস্থিতি।

২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪ দলীয় জোট। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। তবে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কাউকে রাখা হয়নি।

এরপর থেকেই নানা কারণে জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। জোটের বৈঠক, দলের (শরিক দলসমূহ) বিবৃতি-বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

গণভবনে এ বৈঠকে শেখ হাসিন বলেন, নেতৃত্ব সংকটে ভোগার কারণেই বিএনপি রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের দুজনই সাজাপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একজন বিদেশে পলাতক। তাই দলটি ক্ষমতায় গেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে সংকটে রয়েছে বিএনপি। সে কারণেই অনেক ক্ষেত্রেই ‘উল্টাপাল্টা’ কথা বলে যাচ্ছে দলটি।

এসবের বিপরীতে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বলে জানান সরকারপ্রধান।

গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।

এসময় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রমজানে এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে নিত্যপণ্য।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে বাংলাদেশের একার কিছু করার থাকে না। আর রমজানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এক কোটি মানুষের কাছে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে নিত্যপণ্য। রোজার সময় যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে৷