বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুই শিশুকে ঘরে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন শিশু দুটির দুলাভাই। পরে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়েছেন তিনি। আগুনে মারাত্মক দগ্ধ শিশু দুটিকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই দুলাভাই।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের নাম মিতু (১০) ও বাপ্পি (৫)। সম্পর্কে তারা ভাই-বোন। শিশুদের বাবার নাম বাবুল তালুকদার, পেশায় তিনি পান বিক্রেতা এবং মা আকলিমা পোশাক শ্রমিক। তাদের দেশের বাড়ি ভোলায়।
অভিযুক্ত দুলাভাইয়ের নাম আলাউদ্দিন। পেশায় তিনি রিকশাচালক।
বাড়ির মালিক আব্দুল মালেক জানান, সুনিবিড় হাউজিংয়ের দ্বিতীয় তলার বাসার নিচতলার সাত নম্বর রুমে দগ্ধদের দুলাভাই আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী মৌ ভাড়ায় থাকেন। দুপুরে হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ওই বাসার নিচতলার একটি ইলেকট্রিক দোকানের ভাড়াটিয়া আরিফ জানায়, আগুন চিৎকারে দৌড়ে দেখি ওই রুমে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো। ছিটকিনি খুলে দেখি শিশু দুটির শরীরে আগুন জ্বলছে। পরে আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
দগ্ধ শিশু বাপ্পি জানায়, দুলাভাই ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুই ভাই-বোনকে বাসায় ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাসার বাহিরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক আইয়ুব হোসেন জানান, মেয়ে শিশু মিতুর শরীরে ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর শিশু বাপ্পির দুই হাতের আট শতাংশ পুড়ে গেছে।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহেদুজ্জামান জানান, সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় দুই শিশুর দগ্ধের ঘটনা পুলিশ জানতে পেরেছে। বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটলো তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।