হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। আমদানি বাড়ার সাথে সাথে প্রতিদিনই কমছে পণ্যটির দাম। গত এক সপ্তাহে টন প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। দুই দিনেই কমেছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজ কিনতে আসা সাধারণ পাইকারদের মাঝে।
বুধবার (১৬ মার্চ) হিলি স্থলবন্দরে আমদানি হয়েছে নাসিক, পাটনা, গুজরাট, ইন্দ্রো, সাউথ, ভেলোরি জাতের পেঁয়াজ।
গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে নাসিক পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৪ টাকা দরে।
ইন্দ্র কেজিতে ৬ টাকা কমে ২৪ টাকা, তাছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজই কমেছে কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, আইপির মেয়াদ প্রায় শেষ হবার পথে। যার কারণেই পর্যাপ্ত আমদানি করতে হচ্ছে। কারণ এলসি করা হয়েছে অনেক পূর্বে। কোনো কারণে যদি সরকার আইপি না দেয় সেক্ষেত্রে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে তাদের। কারণ পর্যাপ্ত এলসি খোলা আছে। অন্যদিকে আগামী তিনদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ থাকবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এ কারণেও বেড়েছে পেঁয়াজের আমদানি।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকার বলেন, বন্দরে পেঁয়াজের দাম কমার সাথে সাথে দেশের আড়তগুলোতেও দাম কমেছে। হিলি ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। প্রথমদিকে যেভাবে পেঁয়াজের চাহিদা ছিল দিন দিন তা অনেকটাই কমতির দিকে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রতাপ মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দিন দিন পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন তা অনেকটাই ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন আমদানি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক। বুধবার একদিনে আমদানি হয়েছে ৭৭ ট্রাক।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নুরুল আলম খান বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ, আদাসহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে, কাঁচাপণ্য শুল্কায়ন শেষে দ্রুত ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে। চলতি সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসে ভারতীয় ২৩৪ ট্রাকে ১৬ হাজার ৯১০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও বুধবার একদিন আমদানি হয়েছে ৭৭ ট্রাকে ২ হাজার ২০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ।