সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পর উপসাগরীয় দেশগুলোতে উৎপাদন বাড়াতে তাগিদ দিতে তিনি এই সফর করেছেন।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানী রিয়াদে তিনি সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময়ে ইউক্রেন সংকটসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।-খবর রয়টার্স ও মিডল ইস্ট আইয়ের
২০১৮ সালে ইস্তানবুলে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর যে অল্প কয়েকজন পশ্চিমা নেতা সৌদি সফরে যান, তাদের মধ্যে বরিস জনসন অন্যতম। এ আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তেলের বাজারের লাগাম ধরতে চেষ্টা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের নিচে নামার আগে ১৪০ ডলার পর্যন্ত ওঠেছিল। এখন রুশ জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন পশ্চিমা নেতারা।
বরিস জনসন এমন এক সময়ে সৌদি সফরে গেছেন, যখন দেশটিতে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ডের কার্যকর করার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা জানানো হচ্ছে। উপসাগরীয় দেশটির আধুনিক ইতিহাসে এই ব্যাপক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে তারা সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
বরিস জনসনের এই সফরের সমালোচনা করেছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা কিয়ার স্টামার। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এখানে সত্যিকারের জ্বালানি সংকট রয়েছে। কাজেই কোনো কিছু যদি মানুষের কষ্ট লাঘব করতে পারে, তবে তা হতে হবে সঠিক উপায়ে। কিন্তু এক একনায়ক থেকে আরও একনায়কের কাছে গিয়ে ধর্না ধরা কোনো জ্বালানি কৌশল হতে পারে না।