পৃথিবীতে দামি পদার্থের অভাব নেই। বিভিন্ন দেশে নানা দামি পদার্থ থাকলেও বাংলাদেশে সোনার কদর রয়েছে বেশ। তবে দেশের বাইরেও এর মূল্য রয়েছে। কিন্তু হীরা, পানার মতো কেন সোনার এত দাম তা হয়তো অনেকেরই অজানা। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন সময় সোনাকে দেখা হয়েছে শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে; সেই সাথে এটি সম্পদ-অর্থবিত্তের প্রতীকও বটে!
সবাই চায়, সামান্য পরিমাণ সোনা হলেও নিজের কাছে রাখতে। আবার অসুখে এর পানি শরীরে দেওয়াটাও এক রকমের কুসংস্কার বটে! দিনদিন বাজারে সোনার দামও হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী। সোনালিরঙা এই উজ্জ্বল ধাতুটির দাম কেন এত বেশি বা কেনই বা এর এত আবেদন। আসলে ‘সোনা’ ধাতুটির মধ্যেই রয়েছে এমন কিছু বস্তুর সংমিশ্রণ যা এটিকে বিরল বৈশিষ্ট্য এবং মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহারযোগ্যতা দিয়েছে।
মাটির নিচে যেসকল খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়, তার সহজলভ্যতা ও আহরণের হিসেবেও সোনা অত্যন্ত বিরল। তাই প্রতি বছর খুব কম সোনা উত্তোলন করা সম্ভব হয়। তাছাড়া সোনা একটি অবিক্রিয়াশীল পদার্থ এবং এটি রূপা বা লোহার মতো অক্সিডাইজ করে না।
সময়ের সাথে সাথে গোল্ড কয়েনের ওজন কমে না কিংবা বাড়ে না। অ্যালুমিনিয়াম, রূপা, প্লাটিনামের মতো ধাতুগুলো দেখতে প্রায় একই রকম হলেও; সোনা হলুদ রঙয়ের। তাই এটি দেখার সাথে সাথেই চেনা যায়। সোনার আকর্ষণীয় জৌলুসের কারণেও এটি গয়না বানানোর আদর্শ উপকরণ। সোনা নমনীয়তার ফলে এটি সহজে গলানো যায় এবং ছাঁচে ফেলে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া যায়। আর এত সব বিরল বৈশিষ্ট্য যখন আছে, তখন দামটা তো চড়া হবেই বৈকি!