ঋতু বসন্তকাল হলেও বাড়তে শুরু করেছে গরম। বসন্তের হাওয়া ছুঁয়ে দিয়েছে উষ্ণতা। সে সাথে বেড়েছে রৌদ্রের প্রখর তাপ। আর প্রচণ্ড এই দাবদাহে নাকাল পুরো শহরবাসী। গরমের প্রকোপে যেন জনজীবনে নেমে এসেছে এক প্রকার স্থবিরতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমে স্বাস্থ্যের ওপরে যে প্রভাব পড়ে, এতে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যাও হতে পারে। সেই সাথে সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা জ্বরের প্রকোপেও পড়েন অনেকে। তবে তীব্র তাপাদহে শিশু ও বৃদ্ধরায় ঝুঁকিতে থাকেন সবচেয়ে বেশি।
এদিকে গরম থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা উপায়ও জানিয়েছেন। পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করা পাশাপাশি খাবার স্যালাইনও পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হলে অনেকের চোখ জ্বালা করে। এ পরিস্থিতিতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে চোখ ঠাণ্ডা থাকে। আর ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন ।
এছাড়া দিনে চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা ভালো। চর্বিজাতীয় খাবারে শরীর আরও উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। ঘাম ও অস্বস্তি দুই-ই বাড়বে। চর্বির সঙ্গে অতিমাত্রায় চিনিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলা স্বস্তিদায়ক। এ সময় নিয়মিত খাবারের তালিকায় যোগ করতে হবে ফলমূল ও শাকসবজি।
অতিরিক্ত গরমে অনেকেরই অ্যাজমার সমস্যা তীব্র হয়। এ অবস্থায় অ্যাজমা রোগীরা যাতে গরমের অস্বস্তিকর পরিবেশের মুখোমুখি না হন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে রোগীকে দিতে হবে সেবা।
এছাড়া গরমে সুস্থ থাকাটাও দায়! হঠাৎ করেই যে কেউ হতে পারেন অসুস্থ। তাই গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার নেই কোনও বিকল্প।