চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১৪ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। এমন দাবি করেছে ইউক্রেন। শনিবার (১৯ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি করে। বলা হয়, ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের প্রথম তিন সপ্তাহে ১৪ হাজার ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া কিয়েভ আরও দাবি করেছে, সামরিক সরঞ্জামের বিশাল একটা অংশ হারিয়েছে রুশ বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানায়, ১ হাজার ৪৭০টি সামরিক যান, ৪৫০টি ট্যাংক, ১০০টি যুদ্ধবিমান, ১১২টি হেলিকপ্টার, ১২টি ড্রোন ও ৩টি জাহাজ ধ্বংস করেছে তাদের বাহিনী।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা অবশ্য বলছে, গত তিন সপ্তাহের যুদ্ধে ৭ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২১ হাজার। তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বলছে, হতাহতের এসব সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়া জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের পাঁচশোর মতো সেনা নিহত হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।
এদিকে শনিবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন আজভ সাগরে যে সাময়িক প্রবেশাধিকার হারিয়েছিল, তা আবার ফিরে পেয়েছে তারা। তবে ঠিক কখন বা কীভাবে তারা প্রবেশাধিকার ফিরে পেয়েছে, তা জানানো হয়নি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়দের জন্য সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে, বাস্তুচ্যুতরা বর্তমানে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ও যুদ্ধ শেষে তাদের ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ি পুনরায় তৈরি করে দেওয়া।