গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ২২ দিনের সফরে যুক্তরাজ্য গেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী শিরিন হক ও ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সপরিবারে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যে হাউস অব কমন্সে একটি পুরস্কার গ্রহণের জন্য লন্ডনে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে হাউস অব কমন্সে ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ (লন্ডনভিত্তিক প্রবাসী পেশাজীবীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, আগামী ১৬ এপ্রিল জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে। লন্ডনে থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিভিন্ন নাগরিক সমাবেশ ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
এর ফলে আগামী সোমবার (২৮ মার্চ) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট দেশব্যাপী যে হরতালের ডাক দিয়েছে, এ বিদেশ যাত্রার কারণে সেই কর্মসূচিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী থাকছেন না। যদিও বাম গণতান্ত্রিক জোট ১১ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ডাক দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওই দিনই হরতালের প্রতি সমর্থন জানান।
এ বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা যখন হরতাল ঘোষণা করি তখন জানতাম না জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাইরে যাবেন। তবে জেনেছি, ওনার যুক্তরাজ্যে যাওয়াটা বহু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা না, তিনি রাজনীতিও করেন না। একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তেমনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা হরতালেও তিনি তার সমর্থন জানিয়েছেন।