বরিশালের হিজলা উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে হরিনাথপুর ইউনিয়নে শাওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়িতে স্থানীয় বাদল সিকদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হিজলা থানায় দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় বিভিন্ন স্থান থেকে হামলাকারীদের মধ্যে সাত আসামিকে আটক করেছে হিজলা থানা পুলিশ।
শাওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাতে স্থানীয় বাদল সিকদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় কনস্টেবল মেহেদী হাসানকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে আমি তাদের বাধা দিতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করে। পরে তারা ফাঁড়ির বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। তাদের এ হামলার ঘটনাটি ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে রয়েছে।’
কনস্টেবল মেহেদী হাসান বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর বাজার থেকে ফাঁড়ির দিকে আসছিলাম। হঠাৎ একটি ভ্যানগাড়ি দ্রুতগতিতে এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে ভ্যানচালকের সঙ্গে রাগারাগি হয়। এ ঘটনা ভ্যানচালক নেতাকর্মীদের কাছে জানালে তারা আমাকে ফাঁড়ির মধ্যে এসে মারধর করে গুরুতর আহত করে।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাদলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউনুস মিয়া বলেন, হরিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় সাত আসামিকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলা যাচ্ছে না। বাকি আসামিদের সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।’