জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে সংঘাত অব্যাহত থাকলে দেশটির ৯০ ভাগ মানুষই চরম দারিদ্রের মুখে পড়তে পারে। রোববার (২৭ মার্চ) আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
চলমান দোহা ফোরামে অংশ নিয়েছেন ইউনাইটেড ন্যাশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) কর্মকর্তা আচিম স্টেইনার। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা সারা দেশে দেখছি যে, লোকেরা তাদের জীবিকা হারিয়েছে’।
জনগণকে সাহায্য করার জন্য কিছু সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেন সরকার। তবে স্টেইনার বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। এত মানুষের দেখাশোনা করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
স্টেইনার আরও বলেন, ইউক্রেন অর্থনীতির বড় অংশের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মৌলিক পৌর পরিষেবাগুলো কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে না।
এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অন্তত ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রুশ অভিযান রুখতে প্রথম থেকেই মস্কোবিরোধী নিষেধাজ্ঞার ঝুড়ি নিয়ে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে পাশ্চিমা দেশগুলো। দেশটিকে পশ্চিমারা ব্যাপক অস্ত্র সহায়তা দিলেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও অস্ত্র চাচ্ছেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আবারও অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর আবেদন জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে আরও প্লেন, ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে পশ্চিমা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কেবল মেশিনগান দিয়ে গুলি করে রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা সম্ভব নয়।’