পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মেয়েদের ধর্মীয় স্কুলের এক শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দেশটির পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষককে তার সহকর্মী ও দুই শিক্ষার্থী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করেছেন। বার্তা সংস্থা আল-জাজিরার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান অঞ্চলে শিক্ষক হত্যার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ বলছে, দুই শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক মিলে স্কুলের প্রধান ফটকে শিক্ষক সাফুরা বিবির ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তারা ছুরি ও লাঠি দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সাগির আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ভুক্তভোগী নারীর গলা কেটে ফেলা হয়। ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই শিক্ষক। পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজন নিহত শিক্ষকের সহকর্মী। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ফালাহুল বিনাত স্কুলে অধ্যয়নরত দুই ভাগনির সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
অভিযুক্ত দুই মেয়ে পুলিশকে জানান, তাদের এক আত্মীয় স্বপ্নে দেখেন নিহত নারী নবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে অবমাননা করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মূল সন্দেহভাজন উমরা আমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, সাফুরা বিবির ওপর উমরা আমানের ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ ছিল কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা কট্টরপন্থি আলেমদের দ্বারা মগজ ধোলাইয়ের শিকার। সেখানকার শিক্ষকরা গণিত এবং বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোর তুলনায় কোরআনের শিক্ষাকে পুরস্কৃত করেন।
হারিয়েছেন?
আল-জাজিরার তথ্যানুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কমপক্ষে ৮২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শুধু গত বছর, যার মধ্যে রয়েছে উত্তেজিত জনতার পাথর ছুড়ে মারা এবং পুড়িয়ে মারা।